ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন দেশগুলোর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫ সালের জন্য, যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোর আধিপত্য দেখা গেছে। এই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে এস্তোনিয়া, যা তার বিস্তৃত বনভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারের জন্য পরিচিত।
পরিচ্ছন্নতার শীর্ষে এস্তোনিয়া
এস্তোনিয়া তার পরিবেশবান্ধব নীতিমালার মাধ্যমে বায়ু ও পানি মান উন্নত করেছে। বায়োএনার্জির কার্যকর ব্যবহার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার জন্য দেশটি প্রশংসিত হয়েছে।
লাক্সেমবার্গের সবুজ পরিবহন
লাক্সেমবার্গ উচ্চমানের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে এগিয়ে। এর উন্নত সবুজ পরিবহন অবকাঠামো শহরগুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সহায়তা করে।
জার্মানির কঠোর পরিবেশ নীতি
জার্মানি পরিচ্ছন্ন শক্তিতে বিনিয়োগ এবং কঠোর নির্গমন মানদণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করে। উন্নত পুনর্ব্যবহার ব্যবস্থা ও শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও এর পরিচ্ছন্নতার পেছনে ভূমিকা রাখে।
ফিনল্যান্ডের সবুজ শহর পরিকল্পনা
ফিনল্যান্ড তার বিস্তৃত বনভূমি ও পরিষ্কার হ্রদের জন্য পরিচিত। দেশটি টেকসই বন ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্ন শক্তিতে অগ্রাধিকার দেয়, যা উচ্চমানের বায়ু মান ও পরিবেশবান্ধব শহর পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হয়।
যুক্তরাজ্যের সবুজ উদ্যোগ
যুক্তরাজ্য গত দশকে কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। এর সবুজ উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ু শক্তির প্রচার, পুনর্ব্যবহার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি এবং পাবলিক সবুজ স্থান সম্প্রসারণ।
সুইডেনের বায়ু শক্তি
সুইডেনের পরিচ্ছন্ন শক্তির উৎস মূলত জলবিদ্যুৎ ও বায়ু শক্তি। এর কঠোর দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ভাবনী পরিবেশগত সমাধান দেশটিকে শীর্ষ পরিচ্ছন্ন দেশগুলোর মধ্যে স্থান দিয়েছে।
অস্ট্রিয়ার পরিবেশবান্ধব নীতি
অস্ট্রিয়া পরিচ্ছন্ন শহর ও গ্রামীণ অঞ্চল বজায় রাখতে কৃষি অনুশীলন ও রাসায়নিক ব্যবহারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। এর পাবলিক পরিবহন ও শহর পরিকল্পনা পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনকে সমর্থন করে।
নরওয়ের হাইড্রোপাওয়ার নির্ভরতা
নরওয়ে প্রায় সর্বজনীন পরিষ্কার পানীয় জল ও স্যানিটেশন সুবিধা প্রদান করে। এটি হাইড্রোপাওয়ারের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে এবং শিল্প ও যানবাহনের নির্গমন হ্রাসে উচ্চ স্থান অধিকার করে।
সুইজারল্যান্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
সুইজারল্যান্ড তার অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। দেশটির শক্তিশালী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানি পরিশোধন ব্যবস্থা এবং সবুজ প্রযুক্তি ও সেবার বিস্তৃত ব্যবহারে পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে।
ডেনমার্কের পুনর্ব্যবহার নীতি
ডেনমার্ক টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করে, বিশেষ করে বায়ু শক্তির মাধ্যমে। এর নিম্ন দূষণ মাত্রা ও পুনর্ব্যবহার নীতি দেশটিকে বৈশ্বিক শীর্ষ ১০ পরিচ্ছন্ন দেশের মধ্যে স্থান দিয়েছে।
এই দেশগুলোর উদাহরণ দেখায় যে, পরিবেশবান্ধব নীতি ও টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা অর্জন সম্ভব। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এটি অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
পৃথী
