
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর এলাকায় দানে পাওয়া কোরবানির মাংস বিক্রির একটি অদ্ভুত হাট বসেছে। ঈদুল আজহার পর গরিব-অসহায় মানুষের জন্য বিতরণকৃত কোরবানির অতিরিক্ত মাংস কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই হাটে।
শনিবার (০৭ জুন) বিকালে গৌরীপুর বাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। স্থানীয় কয়েকজন মাংস বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা কোরবানি দিতে না পারায় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মাংস সংগ্রহ করেন। কেউ দান করে, কেউ বা অতিরিক্ত থাকায় দিয়ে দেন।
একজন বিক্রেতা বলেন, “আমাদের ঘরে ফ্রিজ নেই। এত মাংস সংরক্ষণ করা সম্ভব না। তাই প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেখে বাকিটা বিক্রি করে দেই। এতে আমাদের কিছু টাকা আয় হয়, যা দিয়ে এক মাসের সংসার খরচ চলে যায়।”
সুমন নামের আরেক যুবক বলেন, “মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার কোরবানি দিতে না পারায় এখান থেকে মাংস কিনে নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করছে। একদিকে আমাদের আয় হয়, অন্যদিকে তারা খুশি হয়।”
কেজি দরে মাংস বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, “মাংস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দান পাওয়া মাংস বিক্রি করে সংসারের নানা খাতে খরচ করি।”
স্থানীয়রা বলছেন, এটি একদিকে যেমন গরিবের জন্য উপকার, অন্যদিকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে কিছু প্রশ্নও দেখা দিচ্ছে। কোরবানির মাংস দানের উদ্দেশ্য ছিল অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, অথচ তা এখন রূপ নিচ্ছে এক প্রকার বাণিজ্যে।
স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি ও সচেতনতার মাধ্যমে এই প্রবণতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
মিমিয়া