ফ্রি ফায়ার পাবজিতে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত কিশোররা

নতুন পোশাক আর বিভিন্ন খেলনা নিয়ে কিশোরদের আর দেখা যায় না হৈ হৈ করতে। আসক্ত হয়েছে ফ্রি ফায়ার আর পাবজি গেমে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কিশোররা পথ হারিয়েছে গেমে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না করে বিভিন্ন গেম আর অনলাইন জুয়ায় আসক্ত।

 নব্বই'র দশকের ছেলে-মেয়েরা ঈদের আনান্দ ভাগাভাগি করতে বিভিন্ন গ্রামীণ খেলার আয়োজন করতেন। সেখানে অংশ গ্রহণ করতেন সমাজের বিভিন্ন বয়সে মানুষ।  সমগ্র সমাজ এক আনান্দের জোড়ায়ে ভাসতেন। এই রকমই এই প্রতিবেদকে বলছিলেন পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী আতিয়া ফয়েজ আশা। তিনি আরো বলেন, তখনকার সময়ে ছেলে মেয়ে  একসাথে কত গ্রামীন খেলায় সময় কাটাতেন।

এই বিষয়ে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো: আরিফ বলেন, আমাদের ইন্টারনেট,  স্মার্ট ফোন খুবই প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনার বিষয়ে যথেষ্ট সহায়তা পাওয়া যায়। তবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার  আমাদের যেমন জীবনে সাফল্যমন্ডিত করে। তেমনি অপব্যবহার করলে জীবন নস্ট হয়ে যাবে। 

এই বিষয়ে সামাজের সচেতন মহলের দাবি, পারিবারিক ও একাডেমিক শিক্ষা তারা যথাযথভাবে মূল্যয়ন না করায় এই বিপদগামী পথে চলে গিয়েছে। আমরা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতন করছি নতুন প্রজন্ম যেন সামাজিকভাবে অবক্ষয় না হয়।

পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক মূল্যয়ণ শতভাগ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। নতুন প্রজন্মের বিপথে যাওয়া কিশোরদের সাথে আলোচনা করছি। তাদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করছি।