
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জাপানকে মার্কিন ষষ্ঠ প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান F-47 বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উন্নতমানের যুদ্ধবিমানের প্রথম রপ্তানি চুক্তি।
F-47 যুদ্ধবিমানটি বোয়িং কোম্পানি নির্মিত এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের নেক্সট জেনারেশন এয়ার ডমিন্যান্স (NGAD) প্রোগ্রামের অধীনে উন্নয়নাধীন। এই বিমানটি F-22 র্যাপটরের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এর কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
-
কমব্যাট রেঞ্জ ১,০০০ নটিক্যাল মাইলের বেশি
-
গতি ম্যাক ২-এর চেয়েও বেশি
-
উন্নত স্টেলথ প্রযুক্তি
-
মানবচালিত ও ড্রোনের সমন্বয়ে যুদ্ধক্ষমতা
-
F-22-এর তুলনায় ৭০% বেশি কমব্যাট রেঞ্জ এবং উন্নত রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ২০২৯ সালের মধ্যে ১৮৫টিরও বেশি F-47 সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে।
জাপান ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ও ইতালির সঙ্গে যৌথভাবে গ্লোবাল কমব্যাট এয়ার প্রোগ্রাম (GCAP) নামে একটি ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করছে। তবে, এই প্রকল্পের ২০৩৫ সালের মধ্যে বিমান প্রস্তুতের লক্ষ্য সময়সীমা নিয়ে জাপান উদ্বিগ্ন, এবং বিকল্প হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-47 বিবেচনা করছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে ২৩ মে অনুষ্ঠিত এক ফোনালাপে ট্রাম্প F-47, F-22 র্যাপটার এবং উন্নত F-35 যুদ্ধবিমানের কথা উল্লেখ করেন এবং জাপানকে "সেরা" যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন।
জাপান যদি F-47 গ্রহণ করে, তবে এটি GCAP প্রকল্পের সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করতে পারে এবং জাপানের প্রতিরক্ষা কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র F-47-এর রপ্তানিতে F-35-এর মতো কৌশল অনুসরণ করতে পারে, যা উৎপাদন খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
সানজানা