ছবি:সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই জটিল হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প এখন মাস্ককে নিজের প্রভাববলয়ে রাখার চেষ্টা করছেন, যদিও দুজনের মধ্যে উত্তেজনা স্পষ্ট।
২০০৩ সালে মার্টিন ইবারহার্ড এবং মার্ক তারপেনিং ক্যালিফোর্নিয়ায় টেসলা প্রতিষ্ঠা করেন। তারা এমন একটি আধুনিক ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা ঐ সময়ের প্রচলিত বৈদ্যুতিক যানবাহনের তুলনায় অনেক উন্নত। এলন মাস্ক প্রতিষ্ঠাতা নন, তবে ২০০৪ সালে $৬.৫ মিলিয়ন বিনিয়োগ করে বোর্ড চেয়ারম্যান হন এবং পরে কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক তাকে সমর্থন জানান এবং "America PAC" এ $৪৫ মিলিয়ন অনুদান দেন। এরপর তিনি “সরকারি দক্ষতা” বিষয়ক একটি কমিশনের দায়িত্ব চান এবং “DOGE” (Department of Government Efficiency)-এর ধারণা দেন। অক্টোবরে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন এবং নিজেকে “ডার্ক MAGA” ঘোষণা করেন।
হোয়াইট হাউসে মাস্ক প্রায় প্রতিদিন হাজির থাকতেন, যা অনেক মন্ত্রীর সঙ্গে সংঘর্ষ ডেকে আনে। USAID-এর মতো সংস্থা বাতিলের পেছনেও তার হাত ছিল। “One Big, Beautiful Bill” পাস হওয়ার পর যখন ট্রাম্প বাইডেনের ক্লিন এয়ার ট্যাক্স ক্রেডিট বাতিল করেন, তখন মাস্ক ক্ষুব্ধ হয়ে যান কারণ এতে তার টেসলা ও স্পেসএক্সের ক্ষতি হয়।
মাস্ক হোয়াইট হাউস থেকে দূরে সরে গেলে, তিনি খোলাখুলি ট্রাম্পের বিলের সমালোচনা শুরু করেন। এতে রিপাবলিকানদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি হয়। সামনে মধ্যবর্তী নির্বাচন ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
ট্রাম্প এখনো মাস্ককে সম্পূর্ণ দূরে ঠেলে দেননি। তিনি জানেন, মাস্ক বিপজ্জনক হতে পারেন। প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্প কি মাস্ককে রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দেবেন, নাকি মাস্কই ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যাবেন?
আঁখি
