ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হবিগঞ্জে বিজিবির ৫ মাসের অভিযানে ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য ও মাদক জব্দ

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:১৯, ৬ জুন ২০২৫

হবিগঞ্জে বিজিবির ৫ মাসের অভিযানে ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য ও মাদক জব্দ

ছবিঃ জনকণ্ঠ

আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে গরু চোরাচালান ও চামড়া পাচার প্রতিরোধে সরাইল রিজিয়নের আওতাধীন শ্রীমঙ্গল সেক্টরের অধীনস্থ হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে অদ্যাবধি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন চোরাচালানি অভিযানে প্রায় ১৭ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার পণ্য, মাদকদ্রব্য এবং যানবাহন জব্দ করা হয়।  শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান।


তিনি জানান- এ বছর দেশের অভ্যন্তরে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১ কোটি। অথচ সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশের খামারগুলোতে প্রায় ২ কোটি গবাদি পশু মজুদ রয়েছে। শুধুমাত্র হবিগঞ্জ জেলাতেই ৭ হাজার ২০০ টিরও বেশি ছোট বড় পারিবারিক খামার রয়েছে। যেখানে পশুর চাহিদা প্রায় ৭০ হাজার, সেখানে মজুদ রয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার পশু।


সুতরাং, গরু চোরাচালানের কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা ও বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ৫৫ বিজিবি কর্তৃক সীমান্তে সর্বোচ্চ নজরদারি, গোপন তথ্য সংগ্রহ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। একইভাবে, ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার না হয়, সেজন্য ৫৫ বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পুশইন প্রতিরোধে ৫৫ বিজিবি কর্তৃক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং নিয়মিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ এর কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান- ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা তারা তাদের ছুটির চিন্তা না করে, সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াতসহ সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর আছে এবং থাকবে। 


বিজিবি সবসময় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে যাবে।

সাব্বির

×