
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আজহা সামনে রেখে প্রতি বছর নিত্যপণ্যের বাজারে যে উত্তাপ ছড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়, এবার তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ পণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল, যা স্বস্তি এনে দিয়েছে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষের মাঝে।
কোরবানির ঈদের অন্যতম অনুসঙ্গ পশু কোরবানি হলেও, সীমিত আয়ের অনেকের পক্ষে এতে অংশ নেওয়া সম্ভব হয় না। তবে উৎসবের আনন্দ থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হন, সে জন্য অনেকেই আগেভাগেই মাংস সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মিরপুরের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ জানালেন,
"কুরবানি দিচ্ছি না, কিন্তু ছেলেমেয়ে আছে, তাদের তো খাওয়াতে হবে। তাই এখনই মাংস কিনে নিচ্ছি।"
ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা হলেও, যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে কোরবানিতে অংশ না নেওয়া বড় একটি অংশ ভিড় করছেন মাংসের দোকানে। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, আর ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি, যা বছরের বাকি সময়ের মতোই।
যদিও ঈদ সামনে রেখে সাধারণত মাংসের দাম কিছুটা কমে, তবে এবার মুরগির দাম তুলনামূলক একটু বেশি রয়েছে। তবে সুখবর হলো, ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে, যা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি স্বস্তি মিলছে কাঁচা সবজির বাজারে। শসা, বেগুন, কুমড়া, করলা, পটল—বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। এক ক্রেতা বলেন,
"আজ শসা নিলাম ৫০ টাকায়। আগের বছর ঈদের সময় ১২০ টাকা পর্যন্ত কিনেছি, এবার তেমন হয়নি।"
তবে মাছের দামে কিছুটা উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে সরবরাহ কম থাকা এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
স্বস্তির মধ্যেও কিছু উদ্বেগের জায়গা থেকে গেছে মসলা বাজারে। আদা, রসুন, জিরা, এলাচসহ প্রায় সব ধরনের মসলার দাম এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, যা কিছুটা চাপ তৈরি করছে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য। এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে, তবে তা এখনও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
সব মিলিয়ে এবার ঈদ সামনে রেখে সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে তুলনামূলক স্বস্তি। সীমিত আয়েও যেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করা যায়, এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নজরদারিতেও সন্তুষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
সূত্র:https://youtu.be/JLHgi2vGiWY?si=ylAXFGufYlmJEZGp
আঁখি