
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের লতিফের গৌ এলাকায় নতুন নির্মিত একটি কালভার্ট সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে চলতি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে সংযোগ সড়কের জায়গায় বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।
চলাচলের ভরসা তক্তার সাঁকো
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অতিবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কালভার্টটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক ধসে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা গাছের তক্তা বসিয়ে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করে হেঁটে চলাচল করছেন। তবে তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং অচলাবস্থার সাময়িক সমাধানমাত্র।
শিক্ষার্থী ও রোগীদের চরম দুর্ভোগ
এলাকাবাসী জানান, কালভার্টটি ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার ও জরুরি রোগী পরিবহনেও এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু এখন পায়ে হেঁটে পার হওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
নির্মাণ শেষ, কিন্তু ব্যবহার অনুপযোগী
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৮ টাকা ব্যয়ে ৫ মিটার দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। মূল নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে। তবে সংযোগ সড়ক না করায় এটি এখনও সাধারণ মানুষের কোনো কাজে আসছে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জমিরুল ইসলাম বলেন, "সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যত দ্রুত সম্ভব দুই পাশে মাটি ভরাটের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।"
এলাকাবাসীর দাবি
স্থানীয়দের দাবি, শুধু প্রতিশ্রুতি নয়—এই দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ প্রয়োজন। সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করে কালভার্টটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ইলিয়াছ সুমন/রাকিব