
নিত্যদিন সকালে হাঁটতে বের হওয়া অনেকের পুরোনো অভ্যাস। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান কী বলে এই অভ্যাস নিয়ে? আপনি জানলে অবাক হবেন—মাত্র ৩০ মিনিট সকালের হাটা আপনার শরীর ও মস্তিষ্কে আনতে পারে চমকপ্রদ পরিবর্তন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে নিয়মিত হাঁটা হলে তা শুধু ওজন কমানোই নয়, বরং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ ও ঘুমের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সকালে হাঁটার ৭টি বৈজ্ঞানিক উপকারিতা:
১. হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় থাকে
সকালে হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, হৃদস্পন্দন নিয়মিত থাকে। এতে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে
মাত্র ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটার মাধ্যমে ১৫০–২০০ ক্যালরি খরচ হয়। নিয়মিত হাঁটলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে।
৩. রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সকালে হাঁটা অত্যন্ত উপকারী। এটি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়
হাঁটার সময় শরীরে এন্ডোরফিন (ভালো লাগার হরমোন) নিঃসরণ হয়, যা মন ভালো রাখে এবং স্ট্রেস কমায়।
৫. হাড় ও পেশি শক্তিশালী হয়
নিয়মিত হাঁটার ফলে জয়েন্টে নমনীয়তা বাড়ে এবং হাড়ের ঘনত্ব রক্ষা হয়। ফলে বয়স বাড়লেও হাড় ক্ষয় বা বাতের ঝুঁকি কমে।
৬. রাতের ঘুম ভালো হয়
সকালের আলো ও হালকা ব্যায়ামের প্রভাবে দেহঘড়ি (biological clock) সঠিকভাবে কাজ করে, ফলে ঘুমের মান বাড়ে।
৭. সৃষ্টিশীল চিন্তা ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে
বিজ্ঞান বলছে, হাঁটার সময় রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে যায়, যা মস্তিষ্ককে সচল ও সজীব রাখে। ফলে স্মৃতি ও মনোযোগ শক্তি বাড়ে।
❗ সকালে হাঁটার সময় কিছু সতর্কতা:
-
খালি পেটে নয়, হালকা কিছু খেয়ে হাঁটুন।
-
আরামদায়ক জুতা পরুন।
-
খুব ধুলোবালি বা গাড়ির ধোঁয়াযুক্ত রাস্তায় হাঁটার পরিবর্তে পার্ক বা খোলা জায়গা বেছে নিন।
-
হাঁটার পর হালকা স্ট্রেচিং করুন।
রোজ সকালে হাঁটা একটি সহজ অথচ অসাধারণ অভ্যাস, যা দীর্ঘমেয়াদে আপনার জীবনযাত্রা পাল্টে দিতে পারে। আপনি যদি এখনো শুরু না করে থাকেন, তাহলে আজই একটি ভালো জুতা পরে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন।
আঁখি