ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়

পরিবেশবান্ধব কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবার সহযোগিতা চাইল পরিবেশ মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ১২:৪৯, ৫ জুন ২০২৫

পরিবেশবান্ধব কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবার সহযোগিতা চাইল পরিবেশ মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ সময় যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুরবানির সময় গবাদিপশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কুরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে গ্লাভস, মাস্ক, এপ্রোন ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, পশুর রক্ত, গোবর, চামড়া, হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়। এসব নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কুরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে প্লাস্টিক দূষণ এড়ানো যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কুরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে যেমন আমরা নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি চারপাশকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় মনে করে, পরিচ্ছন্নতা শুধু শারীরিক নয়, এটি ঈমানেরও অংশ। তাই ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে পরিচ্ছন্ন কুরবানির মাধ্যমে সবাইকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আসিফ

×