
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে যশোরের বড় বাজারে মসলার কেনাবেচা জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে ক্রেতাদের স্বস্তির খবর এবার মসলার বাজারে তেমন বড় ধরনের দাম বৃদ্ধি হয়নি। বরং সরবরাহ ভালো থাকায় অনেক পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে।
বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গরম মসলা—যেমন লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ ও জিরাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলার দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর আমদানি ও দেশীয় সরবরাহ বাড়ায় বাজারে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এ বছর মসলার দাম কিছুটা কম। লবঙ্গ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩২০ টাকা, যা কিছুদিন আগেও ছিল ১৪০০ টাকার কাছাকাছি। এলাচ প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বেশি থাকায় পাইকারি দামে স্থিতিশীলতা রয়েছে।”
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে সবসময়ই মসলার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তবে এবার বাজারে আমদানি ও উৎপাদনের পরিমাণ বেশি থাকায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি হয়নি, ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।
ক্রেতারা যদিও বলছেন, আগের থেকেই যেহেতু মসলার দাম বেশি ছিল, তাই এবার না বাড়লেও পকেটের ওপর চাপ কিছুটা থেকেই যাচ্ছে।
বাজারের খুচরা পর্যায়ে এখন বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মসলার দোকানগুলোতে বেচাকেনা বেশ ভালো চলছে। ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন, তাই এখন প্রতিটি বাজারেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
মিমিয়া