
ছবি: সংগৃহীত
যদি হঠাৎ করে তীব্র দাঁতব্যথা হয় এবং কাছাকাছি কোনও ওষুধ না থাকে, তাহলে মুখে তৈমুরের বীজ রাখলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে চিবিয়ে বা চুষে খেলে ব্যথা কমে যায়।
প্রকৃতি উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি অঞ্চলে এমন মূল্যবান ঔষধি গাছের ভাণ্ডার দিয়েছে, যা এখনও গ্রামীণ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং কখনও কখনও আধুনিক ওষুধের চেয়েও কার্যকর প্রমাণিত হয়। এই ঔষধি গাছগুলোর মধ্যে একটি হল ‘তৈমুর’, যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘তৈমুর’ও বলা হয়। এটি কাঁটাযুক্ত ঝোপের আকারে জন্মায় এবং এর ছোট গোলাকার দানা দেখতে কালো মরিচের মতো, তবে এর স্বাদ এবং বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ আলাদা।
এই বীজ মুখে সামান্য ঝিনঝিন এবং শীতল অনুভূতি তৈরি করে, যা দাঁত এবং মাড়িতে তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। শুধু তাই নয়, তৈমুরের বিশেষত্ব হল এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে এবং ব্রাশ করার মতো সতেজতা দেয়।
তৈমুরের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এর বীজের পাশাপাশি, এর ছাল এবং পাতাও ক্বাথ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যা মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি এবং জয়েন্টে ব্যথার মতো বহু রোগের জন্য কার্যকর। আয়ুর্বেদে, তৈমুর একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে পরিচিত।
বাগেশ্বরের স্থানীয় ভেষজ বিশেষজ্ঞ মহিলা রেণু উপাধ্যায় বলেন, আপনি যদি এই ঔষধি গাছের সুবিধা নিতে চান, তাহলে বাগেশ্বরের সরস মার্কেট অথবা স্থানীয় ভেষজ দোকান থেকে তৈমুরের বীজ কেনা যেতে পারে। এর দাম প্রতি ১০০ গ্রামে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ দিক হল, এই বীজ দীর্ঘ সময়ের জন্য নষ্ট হয় না, তাই এটি ঘরোয়া ঔষধের বাক্সে নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায়।
তৈমুর কেবল একটি ঔষধই নয়, এটি পাহাড়ি জীবনযাত্রার ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক জ্ঞানের প্রতীকও। যারা প্রাকৃতিক ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা খুঁজছেন, তাদের জন্য তৈমুর একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প। এটি একটি ঘরোয়া প্রতিকার, যা প্রতিটি বাড়িতে থাকা উচিত।
শহীদ