ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কন্যা লিলিবেটের জন্মদিনে অদেখা ছবি ও আবেগঘন বার্তা শেয়ার করলেন মেগান মার্কেল

প্রকাশিত: ১২:২৮, ৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ১২:৩১, ৫ জুন ২০২৫

কন্যা লিলিবেটের জন্মদিনে অদেখা ছবি ও আবেগঘন বার্তা শেয়ার করলেন মেগান মার্কেল

ছবি: সংগৃহীত।

ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল তাদের কন্যা প্রিন্সেস লিলিবেটের চতুর্থ জন্মদিন উপলক্ষে কিছু আগে না দেখা পারিবারিক ছবি শেয়ার করেছেন এবং একটি হৃদয়গ্রাহী বার্তা দিয়েছেন তার “সুন্দর মেয়েকে” ঘিরে।

৪ জুন (মঙ্গলবার) লিলিবেটের জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এই পোস্টে দেখা যায়, মা-মেয়ের কিছু মধুর মুহূর্ত—সমুদ্রের ধারে একান্তে সময় কাটানো, একটি ছবিতে শিশু লিলিকে মেগান তার কোলে জড়িয়ে ধরে আছেন।

মেগান লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন আমাদের সুন্দর মেয়েকে! আজ থেকে চার বছর আগে সে আমাদের জীবনে আসে, এবং তার পর থেকে প্রতিটি দিন আরও উজ্জ্বল ও সুন্দর হয়ে উঠেছে। যারা ভালোবাসা জানিয়েছেন ও তার বিশেষ দিনটি উদযাপন করছেন—সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।”

প্রিন্সেস লিলিবেট ডায়ানা মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর ২০২১ সালের জুন মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এর এক বছর আগেই প্রিন্স হ্যারি ও মেগান রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। লিলির নাম প্রিন্স হ্যারির জীবনের দুই গুরুত্বপূর্ণ নারীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা—প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (যার শৈশব নাম ছিল ‘লিলিবেট’) এবং তার মা প্রিন্সেস ডায়ানা।

বর্তমানে লিলিবেট এবং তার বড় ভাই প্রিন্স আর্চি (৬ বছর) মোন্টেসিটোতে রাজকীয় প্রথার বাইরে অনেকটাই সাধারণ জীবনযাপন করছে। তবে রাজপরিবারের প্রতি সম্মান রেখে, ২০২২ সালে রাজা চার্লস তৃতীয় সিংহাসনে বসার পর থেকে তাদের দু’জনেরই রাজকীয় উপাধি (প্রিন্স ও প্রিন্সেস) স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২৩ সালে লিলিবেটের খ্রিষ্টধর্ম অনুসারে দীক্ষানুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এক বিবৃতিতে সাসেক্স দম্পতির মুখপাত্র বলেন, “রাজা হওয়ার পর থেকেই এই উপাধিগুলো ছিল তাদের জন্মগত অধিকার। বিষয়টি বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই চূড়ান্ত হয়েছে।”

একই দিনে ‘Confessions of a Female Founder’ শিরোনামের পডকাস্টের সাম্প্রতিক পর্বে বিখ্যাত সংগীতশিল্পী বিয়ন্সের মা টিনা নলসের সঙ্গে আলাপকালে মেগান মার্কেল মেয়ের সঙ্গে ভবিষ্যতে যৌথভাবে ব্যবসা করার আশাবাদের কথা জানান।

টিনা ও বিয়ন্সের চুলের যত্নের ব্র্যান্ড “Cécred”-এর পারিবারিক বন্ধন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মেগান বলেন, “আমি ভাবছি, কোনো একদিন কি আমি লিলির সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগে অংশ নেব? হয়তো আমরা একসঙ্গে কিছু গড়ে তুলব...”

তিনি এরপর পরামর্শ চান: “মা ও মেয়ে যখন একসঙ্গে ব্যবসা করে, তখন তাদের জন্য কী ধরনের পরামর্শ দেবেন?”

উত্তরে টিনা বলেন, “মা-মেয়ের মধ্যে অনেক সময় আবেগের টানাপোড়েন কাজ করে। আমি সবসময়ই মেনে নিই, যদি ঝগড়া হয় আমি আগে ফোন করে মিটিয়ে ফেলি। সময় নষ্ট হোক, তা আমি চাই না। সন্তানদের সঙ্গে দূরত্ব আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারি না। ওদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই আমার সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।”

এই আবেগময় সাক্ষাৎকার এবং পোস্টে ফুটে উঠেছে মেগান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারির পারিবারিক জীবনের উষ্ণতা ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনার ছোঁয়া।

মিরাজ খান

×