ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জাতীয় নির্বাচনের সময়কাল জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ৬ জুন ২০২৫

জাতীয় নির্বাচনের সময়কাল জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন।

 


ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে—এ প্রশ্ন রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। আমি বারবার বলেছি, নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এখন আমি স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ের গভীর সংকটের মূল কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। এমন নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদী রূপে পরিণত হয়েছিল। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনকারীরা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, আর এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা দলগুলো জনগণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।”

 

 


প্রধান উপদেষ্টা জানান, এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা, যাতে ভবিষ্যতে দেশ নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য তিনি নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

তার ভাষায়, “যেসব প্রতিষ্ঠান সরাসরি নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে যদি সুশাসন নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে ছাত্র-জনতার সব আত্মত্যাগ বৃথা যাবে।”


ড. ইউনূস জানান, সরকার তিনটি ম্যান্ডেট—বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—নিয়ে কাজ করছে। আগামী রোজার ঈদের মধ্যে বিচার ও সংস্কার কার্যক্রমে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশেষ করে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সে বিচারে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাবো।”


ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই, এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। এই নির্বাচন হোক দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।”

তিনি আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কাজ পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন শিগগিরই একটি বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।
 

আঁখি

আরো পড়ুন  

×