
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘ এক যুগ পর জামায়াতে ইসলামী দলের নিবন্ধন পুনর্বহাল করেছে। ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। তবে, গত ২২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল পুনরায় গ্রহণের আদেশ দেয়। এই আদেশের ফলে দলটি নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনরায় স্বীকৃতি লাভ করে এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ফিরে পায় ।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম 'ডন' জানায়, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পর দলটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়। এছাড়া, ২৭ মে ২০২৫ তারিখে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দেয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়। ২০১৪ সালে তাকে ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে দণ্ডিত করা হয়েছিল ।
এই রায়ের পর জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। তবে, দলটির পাকিস্তানপন্থি অবস্থান এখনও বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনার সরকারের সময় জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং দলটির বহু শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যক্রমের আওতায় আনা হয় ।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি আওয়ামী লীগকেও সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ।
শিহাব