
ছবি: সংগৃহীত
পুঁজিবাজারকে চাঙা করতে সরকার ২০২৬–২৭ ও ২০২৭–২৮ অর্থবছরের জন্য করপোরেট কর সংক্রান্ত কিছু শর্ত শিথিল করেছে। একইসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য কর হার ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসায়ী ও হিসাববিদরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা এনে দেবে না, কারণ কর ফাইল মূল্যায়নের সময় কর্মকর্তারা অনেক ব্যয় অনুমোদন না করায় কার্যকর কর হার ৩৫ শতাংশেরও বেশি হয়ে যায়।
করপোরেট কর ছাড় পেতে কোম্পানিগুলোকে দুটি কঠিন শর্ত পূরণ করতে হতো: সব ধরনের আয় ও প্রাপ্তি ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। একক লেনদেনে ৫ লাখ টাকার বেশি এবং বছরে ৩৬ লাখ টাকার বেশি ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে করতে হবে। এই শর্তগুলো ছোট-বড় সব কোম্পানির জন্য বাধ্যতামূলক ছিল, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী মহল আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
সরকার এই চাপ কিছুটা কমিয়ে এনেছে।ম২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য দ্বিতীয় শর্ত— অর্থাৎ একক লেনদেনে ৫ লাখ টাকার বেশি এবং বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ের ব্যাংক লেনদেন সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে শুধু আয় ও প্রাপ্তি ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করলেই কর ছাড় মিলবে।
তবে শিল্প উদ্যোক্তাদের মতে, এই পরিবর্তনেও বাস্তব সমস্যা থেকে যাচ্ছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির প্রভাব এতটাই প্রবল যে, অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত এসব কঠোর শর্ত মানতে অপারগ। ফলে কর হ্রাসের সুযোগ থাকলেও বাস্তবে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
শর্ত শিথিল করায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও পুরো শিল্পখাত এখনো সন্তুষ্ট নয়।বিশেষজ্ঞদের মতে, পুঁজিবাজার ও শিল্পের উন্নয়নে কর নীতিকে বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে— নইলে ঘোষিত ছাড় কার্যকর সুফল আনতে পারবে না।
ফারুক