ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ীসহ কয়েকটি সীমান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৭ মে রৌমারীর বড়াইবাড়ী সীমান্তে ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এদের মধ্যে একজন ভারতের আসামের মরিগাঁও জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিজিবি ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং ড্রোন উড়িয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।
বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফ কোনো ধরনের পূর্ব যোগাযোগ ছাড়াই এই পুশ-ইন কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকারকর্মী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া আইনসম্মত নয়। জাতিসংঘের সহায়তা নেওয়া উচিত।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘১৯৫১ সালের রিফিউজি কনভেনশন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে এমন দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না যেখানে তার জীবন বা স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। বিএসএফের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।’
বিজিবি জানিয়েছে, তারা কৌশলগত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রতিটি ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তবে বিএসএফ কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না।
এই পরিস্থিতি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি তুলে ধরা এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা জরুরি।
রফিকুল ইসলাম রফিক/রাকিব
