ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চতুর পাখি টুনটুনি

শরিফুল রোমান, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৩১ মে ২০২৫

চতুর পাখি টুনটুনি

চতুর পাখি টুনটুনি। বাড়ির আশপাশে ঝোঁপঝাড়ে, মানুষের ছত্রছায়ায় থাকতে এরা বেশ পছন্দ করে। অস্থির ও চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় টুনটুনি এক জায়গায় কখনও বেশিক্ষণ বসে থাকে না—এই আছে, তো এই নেই।

এক সময়ে ছোট্ট পাখি টুনটুনির ডাকাডাকে মুখর থাকত গ্রামীণ পরিবেশ। কিন্তু এখন আর তেমন দেখা মেলে না এই পাখির।

টুনটুনির ইংরেজি নাম Dark-necked Tailorbird। ঠোঁটের সাহায্যে গাছের পাতা ঠোঙার মতো মুড়িয়ে সেলাই করে বাসা বানায় এরা। তাই একে 'দরজি পাখি' নামেও ডাকা হয়।

টুনটুনি আকারে প্রায় ১৩ সেন্টিমিটার। বুক ও পেট সাদাটে। ডানার উপরিভাগ ও মাথা জলপাই লালচে। লেজ খাড়া এবং তাতে কালচে দাগ থাকে।

শিম, লাউ, কাঁঠাল, সূর্যমুখী, লেবু, ডুমুর, কাঠবাদাম গাছে এরা বেশি বাসা বাঁধে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি একত্রে মিলে বাসা তৈরি করে। এদের নির্মাণশৈলী মনোরম এবং অন্য পাখিদের তুলনায় একেবারেই আলাদা।

টুনটুনি সাধারণত পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ খায়। এছাড়াও কেঁচো, মৌমাছি, ফুলের মধু খায়। খাদ্যতালিকায় আরও আছে ধান-পাট-গম পাতার পোকা, শুঁয়োপোকা এবং তার ডিম।

টুনটুনি বছরজুড়ে বংশ বিস্তার করলেও প্রজননকাল মূলত বর্ষাকাল।

সমাজসেবী রুদ্র কমল দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, “দিন দিন গাছপালা, ঝোঁপঝাড়, খাল-বিল, নদী-নালা ধ্বংসের ফলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে দেশি এই পাখি। টুনটুনি বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং এদের আবাসস্থল সংরক্ষণ করা জরুরি।”
 

সজিব

×