
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বাংলাদেশের সামনে একটি ঐতিহাসিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ—শুধু চ্যালেঞ্জ নয়।
আশিক চৌধুরী জানান, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হলেও এটি আমাদের বন্দর ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক, কার্যকর এবং প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আগে অনেক কন্টেইনার ঢাকা থেকে দিল্লি হয়ে বিমানে ইউরোপ যেত, কারণ প্রাইসিং ও সুবিধার দিক থেকে সেটি অনেকের কাছে উপযুক্ত মনে হতো। কিন্তু এখন যখন দিল্লি হয়ে পাঠানোর সুযোগ নেই, তখন আমাদেরই ঢাকার মাধ্যমে সেই সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়বে। ইতোমধ্যেই কার্গো ডিমান্ডে প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই টার্মিনালের কিছু অংশ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী ভিশন পূরণে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক চিন্তা না করে দেশের অন্যান্য বিমানবন্দর যেমন সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের কার্গো হাব হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। চট্টগ্রাম বিভাগে দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ হয়ে থাকে, অথচ চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এখনো ঢাকা বিমানবন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না—এটা আমাদের জন্য একটি স্পষ্ট সুযোগ।
আশিক চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হওয়ার এই ধাক্কা বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল, আধুনিক এবং প্রতিযোগিতামূলক বন্দর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
ইমরান