
ছবিঃ সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি যখন বলে যে ’৭১ আর ২০২৪ এর মধ্যে গোলমাল করে একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটিকে প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা— এটা অনেকটা ‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন’ অথবা জাহাঙ্গীরনগরের প্রেক্ষাপটে ‘আগে নির্বাচন পরে সংস্কার’-এর মত এক পক্ষ নেওয়ার মতো। আমার মনে হয়েছে, বিএনপির এই বক্তব্যটা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। তারা বলছে, এখানে এক ধরনের সাংবিধানিক সংকট তৈরি হচ্ছে, বিভেদ তৈরি হবে দীর্ঘ মেয়াদে। এটা আমরা করতে পারি না। আমাদের যত বড়ই অসুস্থতা থাকুক, সেখান থেকে মুক্ত হতেই হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা মুক্তি চাই, কিন্তু জন্মদিন পালন করবো না ২৪-এ, করবো ১৯৭১-এ। এই বোঝাপড়াটা বিএনপির মতো একটি জনসম্পৃক্ত দলের পক্ষ থেকেই আসা উচিত যেখানে প্রবীণ-নবীনের সমন্বয় ঘটেছে। এই প্রস্তাবনায় তার একটি প্রতিফলন আমি দেখেছি।’’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘‘এখানে ১৪ বছরের শিশু, ৭ বছরের বাচ্চাও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রক্ত দিচ্ছে। এই ‘জেন জি’র ভাষা বুঝতে হবে। এরা নতুন ভোটার— চার কোটি। আমরা যদি তাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে না পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নবিদ্ধ।’’
‘‘জনাব তারেক রহমান বলেছেন, ‘যদি জনগণের ভাষা না বুঝেন, তবে ভাষা যত শক্তিশালীই হোক, তা হয়ে যাবে End of day, no fact, communicate না। বিএনপি যখন সত্য কথা বলছে, তখন তারা যেন বিএনপি ভার্সেস রেস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড হয়ে গেছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ওবায়দুল কাদেরের কথায় পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছে। অথচ, জনাব তারেক রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে একটি মানুষও প্রাণ হারায়নি। তাহলে প্রশ্ন আসে— বিএনপি কি একবার প্রমাণ করেনি যে তারা এলে দেশটা নিরাপদ থাকতে পারে?’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তরুণদের বলতে চাই, আপনারা হতাশ হবেন না। এই যে জীবিত জিয়া, যার কথা আমরা বারবার বলি, তিনি বলেছিলেন— তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। তাহলে তো তিনি সবাইকেই ইনক্লুড করেছেন।’’
ইমরান