
.
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন পশুর হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। তবে এখনও জমে ওঠেনি ক্রয়-বিক্রয়। অনেকেই এখনও পশু দেখছেন। তবে হাটগুলোতে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রবিবার সকালে বেশ কয়েকটি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে যে পরিমাণ গরু আমদানি হয়েছে, সে তুলনায় ক্রেতা নেই।
গাইবান্দা থেকে আসা গরুর ব্যাপারী তুমিজ বলেন, প্রতি বছর এ হাটে আমরা গরু নিয়ে আসি। এবারও আমাদের ফার্মের গরু নিয়ে এসেছি। আমাদের গরুর সাইজ বড়। গতবার ১৬টি এনেছিলাম। বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। আশা করি এবারও বিক্রি হবে। তবে এবার দাম কিছুটা বাড়তি। গরুর দাম ৬ লাখ চেয়েছি। সে অনুযায়ী ক্রেতারা দাম অনেক কম বলছেন। তারা যে দাম বলছেন, তা গত এক বছরের গরুর খাবারের দামের সমান।
দিনাজপুর থেকে আসা গরুর ব্যাপারী ইকবাল বলেন, কেরানীগঞ্জের জিনজিরা হাটে আমি প্রতি বছর গরু নিয়ে আসি। আবার ২৬টি গরু নিয়ে এসেছি। এখনও একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি। আসা করছি সোমবার নাগাদ বিক্রি শুরু হবে। কিছু বাড়তি লাভের আসায় আমরা গরু নিয়ে ঢাকায় আসি। তবে প্রতিবছর রাস্তায় যেভাবে চাঁদা দেওয়া লাগতো। এ বছর রাস্তায় কোথাও চাঁদা দেওয়া লাগেনি। আর জিনজিরা হাটে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তাসহ সকল সুবিধা পাওয়া যায় ।
জিনজিরা হাটের ইজারাদার মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন, কোরবানির হাটের প্রস্তুতি শেষ বললেই চলে। মাঠে নিরাপত্তার জন্য পুরো মাঠে আলোসহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে হাট পশুতে ভরে গেছে। শনিবার ও রবিবার বেচাকেনা জমে উঠবে বলে আশা করছি।
আগানগর হাটের ইজারাদার আরশাদুর রহমান সপু বলেন, আমাদের হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ট্রাক দিয়ে গরু নিয়ে আসছে। কোরবানির হাটের প্রস্তুতি শেষ বললেই চলে। মাঠে নিরাপত্তার জন্য পুরো মাঠে আলোসহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে হাট পশুতে ভরে গেছে।