
ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম। টানা বৃষ্টির ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় রাজ্যের মাঙ্গান জেলার বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। এদের মধ্যে অন্তত ১২৭৬ জন ভারতীয় ও দুইজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
রোববার (১ জুন) উত্তর সিকিমের লাচেন ও লাচুং উপত্যকায় সবচেয়ে বেশি পর্যটক আটকা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকাগুলো বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ অঞ্চলগুলো সিকিমের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হলেও কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিপাতে এখন সেখানে চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এর আগেও, গত ২৯ মে মুনশিথাং এলাকায় একটি গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে গেলে নিখোঁজ হন আটজন পর্যটক। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ২০২৩ সালে ভয়াবহ গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের ধ্বংসযজ্ঞ কাটিয়ে যে বেইলি ব্রিজটি ফিদাং এলাকায় পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল, সেটিও এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিমের ডজংগু এলাকার এই সেতু স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য একমাত্র সংযোগ পথ ছিল। পানির প্রচণ্ড স্রোতের কারণে সেতুর পিলার ভেঙে পড়েছে, ফলে বর্তমানে কেবল পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব।
সিকিমের বিভিন্ন স্থানে ধসের ফলে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডজংগুর শিপগিয়ে এলাকায় নতুন করে ধস নামায় শুক্রবার রাত থেকে সেখানে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
মাঙ্গান জেলার জেলা পঞ্চায়েতের উপাধ্যক্ষ সোনাম কিপা ভুটিয়া বলেন, “উত্তর সিকিমের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এখনো উঁচু পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যটক আটকে থাকতে পারেন। ফিদাং ব্রিজই ছিল ভরসা, সেটাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।”
জেলার সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা সোনাম ডেচু ভুটিয়া বলেন, “রাস্তাঘাট ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থাও দুর্বল। পুরো এলাকাটি এখন চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে।”
সানজানা