ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাজেটে দাম কমানোর সুখবর থাকছে যেসব পণ্যে!

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২ জুন ২০২৫

বাজেটে দাম কমানোর সুখবর থাকছে যেসব পণ্যে!

ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ভোক্তা ও শিল্প খাতকে সহায়তা দিতে নানা কর ও শুল্কছাড়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে এলএনজি আমদানি, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, চিনি, চামড়াশিল্প এবং সয়াবিন ও কাগজশিল্পে কর ছাড়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বাজেট ঘোষণার আগেই এসব খাতে কর কাঠামোর সম্ভাব্য পরিবর্তনের খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে।

এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের উদ্যোগ
বর্তমানে এলএনজি আমদানির সময় ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ২ শতাংশ অগ্রিম কর আদায় করা হয়। আবার বিক্রির সময়ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ উৎসে কর কাটা হয়। এছাড়া গ্যাস বিতরণ সংস্থার মার্জিন বিল পরিশোধে ৫ শতাংশ উৎসে কর নেওয়া হয়। আসন্ন বাজেটে এলএনজি আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির বার্তা হতে পারে।

জ্বালানি তেলে শুল্ক হ্রাস
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশে আনার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অন্যান্য জ্বালানির ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশে নামানো হতে পারে। এতে আমদানিকৃত জ্বালানি পণ্যের দাম কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

নিত্যপণ্যের ঋণপত্রে উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব
চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের স্থানীয় ঋণপত্রে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের নিত্যপণ্যের খরচ কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

ভূমি নিবন্ধনে কর হ্রাস
বাজেটে ভূমি নিবন্ধন সহজ করতে কাঠার পরিবর্তে শতাংশের ভিত্তিতে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ভূমি নিবন্ধনে অগ্রিম করও কিছুটা হ্রাস পেতে পারে, যা ক্রেতাদের জন্য বড় সুবিধা হতে পারে।

চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব
দেশে চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতি টন পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক ৪,৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪,০০০ টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে চিনি আমদানি সহজ হবে এবং বাজারে দাম কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

চামড়াশিল্পের জন্য শুল্ক ছাড়
দেশীয় চামড়া শিল্পকে সহায়তা দিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদানে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার সুপারিশ এসেছে। এতে চামড়াশিল্পের উৎপাদন খরচ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সয়াবিন ও কাগজশিল্পে কাঁচামালে শুল্ক হ্রাস
দেশীয় শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সয়াবিন মিল, কাগজ এবং নির্মাণ শিল্পের কিছু কাঁচামালে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিউট্রালাইজড সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রেও শুল্ক ছাড়ের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রস্তাবিত এসব শুল্ক ও কর হ্রাসের পদক্ষেপ বাজার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বাজেট ঘোষণার দিন।

ফারুক

×