
ছবিঃ সংগৃহীত
ম্যাগনেসিয়াম একটি অত্যাবশ্যক খনিজ যা আমাদের শরীরের ৩০০ টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এটি পেশী ও স্নায়ুর কার্যকারিতা থেকে শুরু করে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং ডিএনএ ও প্রোটিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যে ৫টি দিক থেকে ম্যাগনেসিয়াম আমাদের জন্য অপরিহার্য
🔹 পেশী ও স্নায়ু সচল রাখতে: ম্যাগনেসিয়াম পেশী সংকোচন এবং স্নায়ুর মাধ্যমে সংকেত প্রেরণে সাহায্য করে। এর ঘাটতিতে পেশীতে খিঁচুনি, ঝিনঝিনি ও অসাড়তার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
🔹 হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়: হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে এটি কার্যকর। পাশাপাশি এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক।
🔹 চাপ কমায়, মন শান্ত রাখে: কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে ম্যাগনেসিয়াম কার্যকর, ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস পায়।
🔹 হজমে সহায়ক: হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🔹 হাড় ও শক্তি উৎপাদনে ভূমিকা: হাড়ের গঠন ও শক্তি উৎপাদনে ম্যাগনেসিয়াম অনিবার্য।
দৈনিক কতটুকু দরকার?
দৈনিক চাহিদা বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী ভিন্ন। সাধারণত,
🔹 প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য: ৪০০-৪২০ মি.গ্রা.
🔹 প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য: ৩১০-৩২০ মি.গ্রা.
ম্যাগনেসিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস কোথায়?
নিয়মিত খাদ্য তালিকায় নিচের খাবারগুলো রাখলে সহজেই প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়:
✔ কুমড়োর বীজ, আমন্ডসহ বিভিন্ন বাদাম ও বীজ
✔ পালং শাকসহ সবুজ শাকসবজি
✔ ব্রাউন রাইস, ওটসের মতো সম্পূর্ণ শস্য
✔ ডার্ক চকলেট
✔ দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
📌 ঘাটতির লক্ষণ চিনে নিন
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
- পেশী খিঁচুনি ও দুর্বলতা
- অবসাদ, বমি বমি ভাব
- হৃদস্পন্দনের অনিয়ম
- মনোভাবের পরিবর্তন
এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বিশেষ পরামর্শ
খাদ্য থেকেই ম্যাগনেসিয়ামের প্রয়োজন মেটানো সবচেয়ে ভালো। তবে যদি ঘাটতি ধরা পড়ে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
পৃথী