
ছবি: সংগৃহীত
ফুসফুস আমাদের দেহে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে। তবে দূষণ, ধূমপান, ভাইরাস সংক্রমণসহ নানা কারণে ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই বুঝতে পারেন না কখন ফুসফুসের ক্ষতি শুরু হয়েছে। তবে কয়েকটি লক্ষণ আপনার ফুসফুসের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। নিচে এমন ৩টি প্রধান লক্ষণের কথা উল্লেখ করা হলো—যেগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি:
১. দীর্ঘস্থায়ী কাশি (Chronic Cough)
যদি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি চলতে থাকে, বিশেষত শুকনো কাশি বা কফসহ কাশি—তাহলে তা হতে পারে ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার ইঙ্গিত। এটি অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি বা এমনকি ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে।
২. শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া (Shortness of Breath)
হালকা ব্যায়াম বা হাঁটার সময় যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা হাঁপিয়ে যান, তাহলে এটি ফুসফুস দুর্বল হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাঘাত ঘটলেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এটি অ্যাজমা, সিওপিডি, বা ফুসফুসে সংক্রমণের ফলেও হতে পারে।
৩. বুকে চাপ বা ব্যথা (Chest Tightness or Pain)
যদি হঠাৎ করে বা দীর্ঘদিন ধরে বুকে চাপ অনুভব করেন, অথবা শ্বাস নেওয়ার সময় ব্যথা লাগে—তাহলে তা ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতা নির্দেশ করতে পারে। নিউমোনিয়া, প্লুরিসি বা ফুসফুসে পানি জমার মতো সমস্যার কারণে এমনটা হয়।
অতিরিক্ত লক্ষণ যেগুলো অবহেলা করা যাবে না:
ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট
দেহে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে ঠোঁট বা নখ নীলচে হয়ে যাওয়া
অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া
যদি উপরোক্ত যেকোনো লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তবে দ্রুত একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে এক্স-রে, সিটি স্ক্যান বা পালমোনারি ফাংশন টেস্টের মতো পরীক্ষা করা হতে পারে। ফুসফুস ভালো রাখতে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন, বায়ুদূষণ এড়িয়ে চলুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
ফারুক