ছবিঃ সংগৃহীত
ঈদ-উল-আযহা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি-সহ মুসলিম বিশ্বের মানুষের জন্য একটি আবেগঘন ও খাবারভর্তি সময়। কোরবানির মাংস দিয়ে তৈরি হয় নানা সুস্বাদু রান্না, যা পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খাওয়া হয়। ২০২৫ সালের ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আমরা তুলে ধরছি শীর্ষ ১০টি ঐতিহ্যবাহী রেসিপি, যেগুলো না ট্রাই করলে ঈদের আনন্দ অপূর্ণ থেকে যাবে।
১. গরুর রেজালা
নরম মাংস আর মসলা-মাখানো সাদা গ্রেভির এই রেসিপি ঈদের দিন দুপুরের ভাতের সঙ্গে একদম পারফেক্ট।
২. মাটন কোরমা
কাজু-বাদাম ও ঘি দিয়ে রান্না করা এই মাটনের পদটি ঈদের অন্যতম রাজকীয় খাবার।
৩. নেহারি
মাংস ও হাড়গুড়ো দিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা ঘন ঝোলের এই রেসিপি সাধারণত সকালে খাওয়া হয় নান বা পরোটার সঙ্গে।
৪. কাবাব (শিক/চাপ/কাটলেট)
গরু বা খাসির কিমা দিয়ে বানানো নানা ধরনের কাবাব ঈদের বিকেলে অতিথি আপ্যায়নের জন্য আদর্শ।
৫. তেহারি
গরুর মাংস ও বাসমতি চাল দিয়ে তৈরি এই একপাত্র রান্না ঈদের দুপুরে অন্যতম জনপ্রিয় খাবার।
৬. বিরিয়ানি (মাটন বা বিফ)
ঈদে বিরিয়ানি না হলে যেন উৎসবই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সুগন্ধি চাল, মসলা, ও নরম মাংস এই খাবারকে অনন্য করে তোলে।
৭. চপ বা বিফ ফ্রাই
কোরবানির মাংস দিয়ে বানানো চপ বা ফ্রাই আইটেম বিকেলের নাস্তার জন্য দারুণ একটি অপশন।
৮. গরুর কলিজা ভুনা
ঈদের দিন সকালের নাস্তা হিসেবে গরুর কলিজা ভুনা, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাজা—অনেকের কাছে এটি ঈদের শুরুর আবশ্যিক পদ।
৯. মাংসের খিচুড়ি
ঈদের পরদিন বা দুপুরে একটু হালকা ও ঝটপট রান্না করতে চাইলে মাংসের খিচুড়ি হতে পারে সুস্বাদু সমাধান।
১০. শির খুরমা / সেমাই / ফিরনি
মিষ্টির মধ্যে শির খুরমা, লাচ্ছা সেমাই বা দুধ-চিনি দিয়ে রান্না করা ফিরনি – এগুলো না থাকলে ঈদের মিষ্টি পর্ব যেন অসম্পূর্ণ।
ঈদ মানেই আত্মত্যাগ, আনন্দ আর ভাগাভাগি। আর সেই আনন্দের বড় একটি অংশ জুড়ে থাকে এই ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো। তাই ২০২৫ সালের ঈদ-উল-আযহায় অবশ্যই ট্রাই করুন এসব রেসিপি – সুস্বাদু খাবারে পরিপূর্ণ হোক আপনার উৎসব!
পৃথী
