ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি

প্রস্তাবিত বাজেট বৈষম্যযুক্ত

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:০৭, ৪ জুন ২০২৫

প্রস্তাবিত বাজেট বৈষম্যযুক্ত

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি

প্রস্তাবিত বাজেটে বৈষম্যযুক্ত বলে দাবি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সিপিডির মতে, অন্যান্য বাজেটের মতো এবারের বাজেটেও করের বড় চাপ পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর। বিশেষ করে যাদের বার্ষিক আয় ৬ লাখ থেকে ১৬ লাখের মধ্যে তাদের গুনতে হবে বড় করহার। 
অন্যদিকে যাদের আয় ৩০ লাখের ওপরে তাদের ওপর আরোপিত কর অপেক্ষাকৃত কম, যা পরিষ্কার বৈষম্য বলে মনে করে সিপিডি। তাদের মতে, জুলাই অভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন আদর্শের সঙ্গে বাজেট প্রস্তাবনার সাযুজ্য নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে কর খাতে এখনো বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে। সামগ্রিক বিচারে এবারের বাজেট বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ বলে মন্তব্য সিপিডির।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রতিক্রিয়া জানান সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য গবেষক উপস্থিত ছিলেন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, এবারের বাজেটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজেটকে প্রবৃদ্ধিমুখী ও ভৌত কাঠামগত উন্নতির দিকে না নিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও জনবান্ধব করা। কিন্তু অর্থ উপদেষ্টা যে বাজেট উত্থাপন করেছেন, তার সঙ্গে বাজেটের প্রত্যয়ের প্রতিফলন ঘটেনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট কেনায় কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ অব্যাহত রাখার সমালোচনা করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই উদ্যোগ সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে বলে মনে করেন সিপিডি। 
বিষয়টি জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ঘটনায় বৈষম্য বাড়বে। এটা নৈতিকতার ওপর আঘাত। এভাবে আবাসন খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে আবাসনের দাম বেড়ে যায়। আবাসন অনেকের নাগালের বাইরে চলে যায়।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও সামগ্রিকভাবে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আমলে নেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় এসব সংকট আমলে নেওয়া দরকার ছিল। রাজস্ব সংক্রান্ত  কিছু উদ্যোগ বাজেটে ঘোষিত সমতামুখী ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
করমুক্ত আয়সীমা প্রসঙ্গে সিপিডি বলছে, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। কিন্তু এই আয়সীমা কার্যকর হবে ২০২৬-২৭ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছর থেকে। সেই সময়ের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করলে কর আদায়ে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে তা নিতান্ত নগণ্য।

×