
ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরছে। ফলে ময়মনসিংহের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যাত্রী বেশি পাওয়ায় ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন কিছু অসাধু চালক। এতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হলেও বাধ্য হয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে সরেজমিনে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়সহ আশপাশের এলাকায় গেলে দেখা যায়, কেউ বাইপাস মোড় থেকে অটোরিকশায় চড়ে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে আসছেন, আবার কেউ সেখান থেকে বাস কিংবা সিএনজি অটোরিকশায় উঠছেন। অধিক ভাড়া দিয়েই চলাচল করছেন তারা।
যাত্রীরা জানান, বিভিন্ন বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হলেও চালকরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি না পেলে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন না।
পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবক জাহিদ হাসান। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, “আমার বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। ভালুকার মাস্টারবাড়িতে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। মাস্টারবাড়ি থেকে ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের উদ্দেশ্যে বাসে উঠি। ভেতরে দাঁড়িয়ে থেকে এসেছি, তবুও ১৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। যারা সিটে বসে এসেছেন, তাদের কাছ থেকে ২৭০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। যেখানে বছরের অন্য সময় ৬০-৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিটে বসে যাওয়া যায়।”
গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহে আসা যাত্রী আবু নাঈম বলেন, “সাধারণত ১৮০-২৩০ টাকায় ময়মনসিংহ আসা যায়। আজ ৩৫০ টাকা ভাড়া নিয়েছে। অথচ পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে নামিয়ে না দিয়ে বাইপাস মোড়েই নামিয়ে দিয়েছে।”
আরেক যাত্রী আল আমিন জানান, বাসসহ সব গণপরিবহনের চালকরা ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছেন। এজন্য বাধ্য হয়ে মিনি ট্রাকে কম ভাড়ায় শেরপুরের গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী বলেন, “চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা বাড়তি ভাড়া না নেন। কেউ নির্দেশ না মানলে প্রশাসনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজা মো. গোলাম মাসুম বলেন, “বাড়তি ভাড়া বন্ধে সড়ক-মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু চালককে জরিমানা করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
সানজানা