
মে মাসের শেষভাগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হয়েছে প্লাবন পরিস্থিতি। সঙ্গে ছিল ঝড় ও ঝড়ো হাওয়া। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনজীবন। তবে দুর্যোগ এখানেই থামছে না—জুন মাসে ঝড়-বৃষ্টি আরও বাড়বে এবং দেশে নতুন করে নিম্নচাপ ও স্বল্পমেয়াদী বন্যার শঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিশেষ করে নোয়াখালীর হাতিয়া অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডবে নদী পারাপারের সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। লক্ষ্মীপুরে একসাথে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে পানিতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জুন মাসে সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলেও এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ৬ থেকে ৮ দিন বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম জানান, “জুনে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলেও উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে মৌসুমি নিম্নচাপ ও লঘুচাপ।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুন মাসের এই প্রাকৃতিক চিত্রকে ঘিরে কৃষি খাত, জনজীবন এবং অবকাঠামোতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার সময় এখনই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও এলাকাবাসীকে আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিমিয়া