ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদে বৃষ্টির শঙ্কা, তবে বড় দুর্যোগ নয়: স্বস্তি-ভোগান্তির সম্ভাবনা দুটোই

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ৫ জুন ২০২৫

ঈদে বৃষ্টির শঙ্কা, তবে বড় দুর্যোগ নয়: স্বস্তি-ভোগান্তির সম্ভাবনা দুটোই

অফিস-আদালত বন্ধ, শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। মানুষ ফিরছে নিজ নিজ বাড়িতে। আর একদিন পরেই উদযাপিত হবে মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। তবে উৎসবের আমেজের মাঝেই আকাশ কালো করে থাকা মেঘ অনেকের মনে বাড়াচ্ছে উদ্বেগ।

সাম্প্রতিক সময়ে টানা কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, যার কারণ ছিল বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ। আবহাওয়া অফিস জানায়, বর্তমানে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে আকাশ এখনও মেঘলা এবং প্রকৃতি কিছুটা গোমড়া মুখে।

এদিকে, মানুষ ছুটছে দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপন করতে, কোরবানির পশুর হাটগুলোতেও ভিড় বাড়ছে। এমন সময়ে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা ঈদের আনন্দে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

সিলেট বিভাগের নিম্নাঞ্চলে এখনও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, তিন দিনের মধ্যে বড় ধরনের দুর্যোগের শঙ্কা নেই। বরং বর্ষার স্বাভাবিক নিয়মেই দেশের কিছু কিছু জায়গায় কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে।

বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ স্থানে ঈদের দিনেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে নদীর পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার নিচে চলে আসতে পারে, ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।

ঈদের দিন বৃষ্টির প্রভাব দুই রকম—একদিকে কোরবানির সময় টানা বৃষ্টি দুর্ভোগ বাড়াতে পারে, অন্যদিকে তা তাপমাত্রা কমিয়ে ও বর্জ্য অপসারণে সহায়ক হতে পারে।
 

বৃহস্পতিবারও খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমতে শুরু করবে, এবং শনিবার থেকে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুক।

তিনি আরও জানান, বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তবে লঘুচাপ বা ডিপ্রেশন না থাকায় ঝড়ো বৃষ্টির আশঙ্কা কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঈদের দিন চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে, এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েও যেতে পারে, যদিও তাপপ্রবাহের শঙ্কা কম।

Jahan

×