ছবি: জনকণ্ঠ
চুরির মামলায় জেল থেকে জামিনে বের হওয়ার পর আবারো চুরি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কোরবান আলী। বুধবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর গরুর হাটে চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পরে সে। কোরবান আলী পাশর্^বর্তী কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য এবং একই উপজেলা কোনাবাড়ী গ্রামে নুর মোহাম্মদের ছেলে।
বড়হর হাটের গরু ক্রেতারা জানান, ঘটনার সময় কোরবান আলী উল্লাপাড়ার বাহিরে থেকে আসা আব্দুল হামিদ নামের এক গরুর ব্যাপারীর পকেট থেকে টাকা চুরির সময় ধরা পরেন। এ সময় হাটের লোকজন তাকে গণধোলাই দেয়। পরে পড়নের কাপড় ফেলে কোরবান আলী হাপপ্যান্ট পড়া অবস্থায় পাশর্^বর্তী করতোয়া নদীতে জাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান।
কোরবান আলীকে গণধোলাই দেয়ার কয়েকটি ছবি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনেকের মন্তব্যে জানা যায় কোরবান একজন প্রফেশনাল চোর।
ঈদের পূর্বে গরুর হাটে এমন প্রফেশনাল চোর রুখতে হাট কমিটিকে দুষছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। অনেকেই বলছেন, হাটে প্রফেশনাল চোর ঢুকলে হাট কমিটি জানতে পারে। কমিটির অনেকেই কোরবানকে চেনেন, তবুও সে হাটে ঢোকার সাহস পায় কীভাবে৷ হাট কমিটিকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বড়হর হাট ইজারাদার লাবু জানান, চোর ধরেছে এমন কথা শুনেছি,চোরের নাম ঠিকানা জানি না। আমরা হাটে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, উল্লিখিত ইউপি সদস্য কোরবান আলীর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিন্তায় মামলা রয়েছে। এর আগে এমন গণধোলাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। দু-দিন আগেই জামিন পেয়ে তিনি জেল থেকে বের হন। তারপরেই আবার এই গণধোলায়ের ঘটনা ঘটল।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, বড়হর হাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোরবান আলী বিরুদ্ধে তার থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
সাব্বির
