
ছবি: জনকন্ঠ
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় গবাদিপশুর হাট বেড়া বেসরকারি চতুরবাজার হাট। এ হাটে পাবনার জেলাসহ আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে ব্যাপারী,খামারিরা গরু নিয়ে এসেছে বিক্রির জন্য। বিভিন্ন জাতের দেশি বিদেশি গরুতে ভরে গেছে হাট। নানান জাতের বড় বড় ষাড়সহ দেশি মাঝারি ও ছোট আকারের লক্ষাধিক গরু আমদানি হয়েছে।
হাটসহ এর আশপাশের এলাকা ভরে গেছে গবাদিপশুতে। হাটে পা ফেলার জায়গা নেই। সড়ক ও নৌ-পথে যোগাযোগের সুন্দর ব্যবস্থা থাকার জন্য দেশের গরু ব্যবসায়ীদের কাছে হাটটির গুরুত্ব বেশি। শুধু এলাকার গরু ব্যবসায়ীরাই নয়,দেশের বগুড়া,টাংগাইল,ঢাকা,সিলেট ও চিটাগাংসহ বিভিন্ন জেলার গরু ব্যাপারীরা এই হাটে গরু কিনতে আসে। এমন কি অনেকেই ভারত থেকে গরু কিনে এই হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে।
প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পশুর হাট বসে। ভোর থেকেই গবাদিপশু পশু আসতে শুরু করে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রেতার তুলনায় গবাদিপশু আমদানি বেশি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার গরুর প্রতি দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
বড় গরু বিক্রেতাদের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। গোখাদ্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে। এক লাখ টাকা দামের একটি গরুর পেছনে এক বছরে গোখাদ্য বাবদ অন্তত ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। হাটে আনার পর সে তুলনায় দাম বলছে না। বাড়ি থেকে যারা ব্যাপারীদের কাছে গরু বিক্রি করেছে তাঁরা কিছুটা ভালো দাম পেয়েছেন।
গরু লালন পালন ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ গোখাদ্যের দাম বেশি। ফলে এ অঞ্চলের গোখামারী ও চাষিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে খামারিদের অনেকেই জানিয়েছেন। দূরদূরান্ত থেকে গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা ট্রাক, নসিমন,করিমন ও নৌকায় করে হাজার হাজার গরু নিয়ে আসছেন। হাটের মধ্যে জায়গা না হওয়ায় প্রাণ ডেয়ারি চত্বরসহ বাঁধের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাব্যাপী গবাদিপশুর হাট বসেছে। ছোট, বড় ও মাঝারি সব ধরনের গরু আমদানি হয়েছে। তবে দেশি ছোট গরুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
Mily