
ছবি: সংগৃহীত।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার চালুর আগে মানুষের হাতে যেসব গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা যাচাই হতো, এখন তার ৯০% অংশ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। মেটার অভ্যন্তরীণ নথি থেকে এ তথ্য জানিয়েছে এনপিআর।
আগে কোনো ফিচার চালুর আগে মানুষ খতিয়ে দেখত—সেটি গোপনীয়তার ক্ষতি করছে কি না, শিশুদের জন্য ক্ষতিকর কি না, কিংবা ভুল বা বিষাক্ত তথ্য ছড়াতে পারে কি না। এখন সেই দায়িত্ব মূলত এআই-এর উপর।
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কম ঝুঁকির বিষয়গুলোই শুধু স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, এমন অনেক স্পর্শকাতর বিষয় যেমন: শিশুদের ঝুঁকি, সহিংস কনটেন্ট ও ভুল তথ্য—এসব ক্ষেত্রেও স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নের পরিকল্পনা চলছে।
অনেক সাবেক ও বর্তমান কর্মী মনে করছেন, এতে ঝুঁকি বেড়ে যাবে। কারণ, এআই সবসময় জটিল সামাজিক প্রভাব বুঝতে পারে না। এক সাবেক নির্বাহী বলেন, "এভাবে দ্রুত ফিচার চালু করতে গেলে ভবিষ্যতের সমস্যাগুলো আগে থেকে ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।"
তবে মেটার দাবি, এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে এবং জটিল বিষয়গুলো এখনো মানুষের হাতেই থাকবে।
মেটা এর আগেও বলেছিল, তারা কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহার বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে যেসব পোস্ট স্পষ্টভাবে নিয়ম ভাঙে না, সেগুলো চিহ্নিত করে মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট যাচাইয়ে সময় দিতে চায় তারা।
তথ্যপ্রযুক্তি নীতিবিদ কেটি হারবাথ বলেন, এআই ব্যবহারে সময় ও শ্রম বাঁচলেও, মানুষের তত্ত্বাবধান থাকা জরুরি।
মেটার একজন কর্মী জানান, এপ্রিল-মে মাসে এই স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া দ্রুত বিস্তৃত হয়েছে। যদিও অনেকের আশঙ্কা, এতে করে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো উপেক্ষিত হতে পারে।
নুসরাত