
ছবিঃ সংগৃহীত
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত খাদ্য ও শারীরিক কার্যকলাপ নজরে রেখে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তবুও অনেক সময় দেখা যায়, খাবারে পরিবর্তন না এনেও রক্তে শর্করার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এর পেছনে থাকতে পারে কিছু 'চুপিসারে কাজ করা' কারণ, যা আমরা অনেক সময়ই উপেক্ষা করি।
অসুস্থতা বা মানসিক চাপ
যখন আপনি অসুস্থ বা মানসিক চাপে থাকেন, তখন শরীর কর্টিসল ও সাইটোকাইনস নামক স্ট্রেস হরমোন তৈরি করে। এগুলো শরীরের গ্লাইকোজেন ভেঙে গ্লুকোজে রূপান্তর করে রক্তে ছাড়ে। ফলে ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় নিয়মিত সুগার চেক করুন, সহজ পাচ্য খাবার খান ও তরল খাবারে সচেতন থাকুন।
পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন)
শরীরে পানি কমে গেলে রক্ত ঘন হয়ে যায় এবং গ্লুকোজের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে। হালকা হলুদ রঙের প্রস্রাব হলে বুঝবেন শরীর ডিহাইড্রেটেড। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও চিনি ছাড়া ভেষজ চা খেতে পারেন।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
স্টেরয়েড, ডায়ুরেটিক, মুড স্ট্যাবিলাইজারসহ অনেক ওষুধ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়াতে পারে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের বিকল্প খোঁজ করুন ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
হরমোনজনিত পরিবর্তন
কর্টিসল, গ্রোথ হরমোন, গ্লুকাগনসহ বিভিন্ন হরমোন রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়াতে পারে। নারীদের মাসিকচক্র বা গর্ভাবস্থায় ব্লাড সুগারে উঠানামা বেশি দেখা যায়।
নিয়মিত মনিটরিং করুন এবং ডায়েট প্ল্যানের জন্য ডায়েটিশিয়ানের সাহায্য নিন।
ঘুমের অভাব
ঘুম না হলে শরীর ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারায়। ফলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়। ঘুমানোর আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়িয়ে চলুন, ঠাণ্ডা ও অন্ধকার ঘরে ঘুমানোর পরিবেশ তৈরি করুন।
শুধু খাবার নয়, শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন কারণেও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত শরীর পর্যবেক্ষণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পানি পান নিশ্চিত করা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।
সূত্রঃ www.eatingwell.com
নোভা