
রোজ বিকেলে চিনাবাদাম খাওয়ার বেশ কিছু উপকার রয়েছে, তবে কিছু সতর্কতাও মানা দরকার। নিচে এর ভালো এবং খারাপ দিকগুলো দেওয়া হলো:
উপকারিতা:
উচ্চ প্রোটিন ও শক্তির উৎস: চিনাবাদামে প্রচুর প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা বিকেলের ক্ষুধা মেটাতে সহায়ক।
হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো: এতে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখতে সহায়তা করে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: চিনাবাদামে ভিটামিন E, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের কোষকে রক্ষা করে।
মস্তিষ্কের জন্য ভালো: এতে থাকা নিয়াসিন ও ভিটামিন-B স্মৃতিশক্তি ও স্নায়ু সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।
সতর্কতা:
অতিরিক্ত খাওয়া ওজন বাড়ায়: এতে ক্যালোরি ও ফ্যাট বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
লবণযুক্ত চিনাবাদাম নয়: বেশি লবণযুক্ত হলে রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
অ্যালার্জির সম: স্যাঅনেকের চিনাবাদামে অ্যালার্জি থাকে, যেটা মারাত্মক হতে পারে।
পেট গরম বা অ্যাসিডিটির সমস্যা: কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে।
নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে (প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রাম) চিনাবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে ভাজা বা লবণযুক্ত চিনাবাদামের চেয়ে কাঁচা বা কম ভাজা চিনাবাদাম বেশি স্বাস্থ্যকর।
সজিব