ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সম্ভাবনায় ভরপুর চরাঞ্চল

বাদামের বাম্পার ফলনে চরের মানুষের মুখে হাসি

মোঃ তারিকুল ইসলাম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৬:১০, ৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৬:১১, ৫ জুন ২০২৫

বাদামের বাম্পার ফলনে চরের মানুষের মুখে হাসি

ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়ীয়া চরে বাদাম চাষে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দীর্ঘদিন অনাবাদি পড়ে থাকা মধুমতির চর এলাকায় এখন বাদামের সবুজ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। চরবাসী কৃষকরা বলছেন—ঠিকমতো সরকারি সহায়তা পেলে বাদাম হতে পারে এই অঞ্চলের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।

খোলাবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক মো. পারভেজ জানান, “এবার আমরা প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষে আশা করছি, এতে অন্তত ৬ মণ বাদাম উৎপাদন হবে। আমাদের এলাকায় বছরে একবারই বাদাম চাষ হয়। সাধারণত পৌষ ও মাঘ মাসে বীজ রোপণ করা হয় এবং প্রায় ছয় মাস পর ফলন সংগ্রহ করা যায়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে।”

কৃষক পারভেজ আরও বলেন, “ফলন ভালো হলেও বাজারজাত, পরিবহন এবং সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় লাভের পরিমাণ কমে যায়। সরকারি সহায়তা পেলে অনেক কৃষকই বাদামের দিকে ঝুঁকবে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, “চরাঞ্চলে বাদাম চাষের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। এই বছর ফলন আশানুরূপ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কৃষককে বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ফসলের থেকে লাভও বেশি। সেজন্য বিস্তীর্ণ চরে বাদাম চাষের সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। 

কৃষকের সরকারি সহযোগিতার বিষয়ে বলেন, সরকারি প্রণোদনার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত। পর্যায়ক্রমে সবাই সুবিধার আওতায় আসবে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চরাঞ্চলে প্রায় ৫০০-৬০০বিঘা জমি বাদাম চাষের উপযোগী। একটু সহযোগিতা পেলে পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যেতে পারে।

চরবাসীর প্রত্যাশা—বাদাম চাষ শুধু তাদের জীবিকায় পরিবর্তন আনবে না, বরং চরাঞ্চলকে বদলে দেবে একটি কৃষিভিত্তিক উৎপাদন অঞ্চলে।

ইমরান

আরো পড়ুন  

×