ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পশুর নদীর তীরে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৬:২৭, ৫ জুন ২০২৫

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পশুর নদীর তীরে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট ও পলিথিনে ক্রমশ: দূষণ বাড়ছে। ফলে বনের জীব-বৈচিত্র্য, বাস্তুতন্ত্র হুমকিতে পড়ছে। বিষয়টি গভীর উদ্বেগের। এ বিষয়ে  সরকার ও বন বিভাগকে সমন্বিত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।’ 

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ১১টায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার কানাইনগর গ্রাম সংলগ্ন পশুর নদীর তীরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় সুন্দরবনের মাছে মাইক্রো প্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এতে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সুন্দরবনের জলজপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় প্লাস্টিক পলিথিন বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে চলতে হবে। শুধুমাত্র সুন্দরবনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলে হবেনা, সমগ্র উপকূলজুড়ে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে হবে।’

মোংলা নাগরিক সমাজ ও মোংলা উপজেলা জেলে সমিতির আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, পরিবেশকর্মী নূর আলম শেখ, সার্ভিস বাংলাদেশ’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, মোংলা নাগরিক সমাজের জানে আলম বাবু, সুমন রানা, জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, শাহাদত ব্যাপারী, জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
মোংলা উপজেলা জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল’র সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পরিবেশকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।

পরিবেশকর্মী নূর আলম শেখ বলেন, প্রতিবছর ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য জলজ পরিবেশে প্রবেশ করে। গবেষণায় পশুর ও মোংলা নদীর ১৭ প্রজাতির মাছে মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। যা জীববৈচিত্র ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। এসব প্লাস্টিক জলজ প্রাণী বিশেষ করে মাছের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নদী দূষণের ফলে ইলিশ মাছের স্বাস্থ্যহানিতে দেহের আকার ছোট হয়ে গেছে। দূষণের ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে মাছের আকাল দেখা দিচ্ছে। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে করে, পরিবেশ সম্মত বিশ্ব গড়ার জন্য সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানান এই পরিবেশকর্মী।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বজুড়ে বড় মাথাব্যথা। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) সতর্ক করেছে, ২০৪০ সালের মধ্যে সমুদ্রে ২৩-৩৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য যোগ হতে পারে যা এখনকার প্রায় তিনগুণ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস (৫ জুন) ঘিরে প্লাস্টিক মুক্তির নানা প্রচার চললেও কার্যকর বিকল্প খুবই সীমিত।

মিরাজ খান

আরো পড়ুন  

×