
আম পুষ্টিকর একটি ফল হলেও কিছু ক্ষেত্রে এটি খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে। নিচে উল্লেখ করা হলো, কারা আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবেন:
যাদের জন্য আম খাওয়া ক্ষতির কারণ হতে পারে:
১। ডায়াবেটিস রোগীরা
আমে প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুক্টোজ) বেশি থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আম খাওয়া উচিত।
২। ওজন নিয়ন্ত্রণে যারা রয়েছেন
অতিরিক্ত আম খাওয়া অতিরিক্ত ক্যালোরি সরবরাহ করে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা ডায়েট করছেন, তারা পরিমাণ বুঝে খাওয়া উচিত।
৩। অ্যাসিডিটির সমস্যা যাদের আছে
অতিরিক্ত পাকা আম খেলে পেটে গ্যাস, অম্বল বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। অ্যালার্জি আছে এমন কেউ কেউ
কারও কারও ক্ষেত্রে আম খেলে ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা আমে থাকা রাসায়নিক পদার্থ কারও জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
৫। যাদের লিভার সমস্যা আছে
অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার লিভারের উপর চাপ ফেলতে পারে। তাই লিভার সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের আম খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত।
পরামর্শ:
-
দিনে ১টি মাঝারি সাইজের আম খাওয়া নিরাপদ ধরা হয়।
-
খালি পেটে না খাওয়াই ভালো।
-
প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমই খাওয়া উচিত, ফরমালিন বা কেমিক্যালযুক্ত আম পরিহার করুন।
প্রয়োজনে পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আম খাওয়া উচিত।
সজিব