
ছবিঃ সংগৃহীত
সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, নয় মাসে নয় টাকা যদি বলতে পারে, তাহলে কারণ একটাই— আমি একটা সুনাম বা রেপুটেশন অর্জন করেছি আমার ৪০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে।
“মানুষ বলবে আমি রাগী, ঝগড়া করি, দুর্ব্যবহার করি— কারণ আমি সত্যি কথা বলি, আর সেই কারণেই মাঝেমধ্যে রেগে যাই। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় শত্রুও বলতে পারবে না যে আমি অসৎ। এটা আমি কোনোদিন শুনিনি। বিসিবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই এই অভিযোগ শুনলাম, এবং মানুষ সেটা বিশ্বাসও করে ফেলল।”
“এত সুন্দর করে ‘মঞ্চস্থ’ হয়েছে যে বলা হচ্ছে, আমি ১১৮ কোটি টাকা সরিয়ে ফেলেছি। অথচ কনটেন্ট দেওয়ার আগেই গল্প শেষ! যখন ডিরেক্টর নাজমুল আবেদীনকে জিজ্ঞেস করা হলো, সে যেন আকাশ থেকে পড়ল— বলল, কোথায় টাকা? কই, কীভাবে, কিছু জানি না! পুরো ঘটনাটাই যেন কথাসাহিত্য।”
“আমি শুধু ভাবছিলাম, মানুষকে কিভাবে বোঝাব যে এটা আমি একা সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের ব্যাংকগুলো যখন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল, তখন আমার প্রথম চিন্তা ছিল এই টাকাগুলোকে নিরাপদ রাখা। বলা হচ্ছে জনতা ব্যাংকের টাকা... দেখুন, কত সুন্দরভাবে সব সাজানো হয়েছে! বলা হচ্ছে ১১৮ কোটি টাকা তিনটি ব্যাংকে গেছে। প্রথমে মানুষ ভাবে টাকাগুলো আমার পকেটে গেছে, পরে জানতে পারে শুধু ব্যাংক ট্রান্সফার হয়েছে।”
“আসলে তিনটা নয়, তেরোটা ব্যাংকে রাখা হয়েছিল মোট ২৩৮ কোটি টাকা। দুইজন ডিরেক্টর ছিলেন, যারা বলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন যে তাঁরা কিছু জানেন না। কিন্তু অ্যাকাউন্টস বিভাগ থেকে আমাকে জানানো হয়, তারা দু’জনেই স্বাক্ষর করেছেন এবং সব জানেন। আমি তখন বলি, কাগজগুলো বের করো। প্রত্যেকটা নোটশিট আছে— ২১ আগস্ট তারিখের, প্রমাণসহ। ইউটিউবাররা যেটা বারবার বলছে যে ‘পোস্ট ফ্যাক্টো’ অর্থাৎ ঘটনার পরে সাইন হয়েছে— তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
“আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো, মিথ্যা কথা বলবেন না। সত্য কথা বলুন, সমালোচনা করুন। কিন্তু মিথ্যার সঙ্গে মিথ্যা যোগ করলে সেটা সাংবাদিকতা নয়।”
উল্লেখ্য, গেল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে বিসিবি সভাপতির পদ হারান ফারুক আহমেদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন বাতিলের কারণে বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদচ্যুত হন তিনি।
ইমরান