ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুতুবদিয়া উপকূলজুড়ে ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় শক্তি

আব্দুল্লাহ আল নওশাদ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০২:১৩, ২ জুন ২০২৫; আপডেট: ০২:১৫, ২ জুন ২০২৫

কুতুবদিয়া উপকূলজুড়ে ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় শক্তি

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের সাগরঘেরা দ্বীপ কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় শক্তি’র প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় উপকূলজুড়ে রয়ে গেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এর প্রভাবে দ্বীপের চারদিকে অন্তত ১৭০০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলী আকবর ডেইল বায়ু বিদ্যুৎ পয়েন্ট, তাবালের চর, আলী আকবর ডেইল ঘাট, কৈয়ারবিল, দক্ষিণ ধূরুং ও উত্তর ধূরুংসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে ফসলি জমিসহ ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে, এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, ‘প্রতি বছরই আমাদের এই একই দুর্যোগের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। বর্ষা মৌসুমে আমাদের চোখে ঘুম নেই, কখন জোয়ারের পানিতে ঘর ডুবে যাবে এই চিন্তায় থাকি, স্থায়ী বেড়িবাঁধ না হওয়াতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’ তিনি সরকারের কাছে দাবি রাখেন টেকসই সুপার ডাইক বেড়িবাঁধের।

নদীগর্ভে বিলীনের পথে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বায়ু বিদ্যুৎ পয়েন্ট। হুমকির মুখে বাতিঘর, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে ৩৪ বছরে বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়েছে কুতুবদিয়ার ১৮৩ একর জনপদ। প্রতিনিয়ত ছোট হয়ে আসছে প্রাচীন এই দ্বীপ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা জানান, বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা চলছে।

আব্দুল্লাহ আল নওশাদ/রাকিব

×