
ফারুক আহমেদ
সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ ক্রিকেট বোর্ডে লম্বা সময় নির্বাচক প্যানেলে কাজ করে ২০১৬ সালের জুনে নাজমুল হাসান পাপনদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিসিবি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিসিবিতে তিনি ফেরেন একেবারে শীর্ষ পদে আসীন হয়ে। দুই দিনের নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের পর ১০ মাস না যেতেই সভাপতির চেয়ার হলো তার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক অফিস আদেশে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে এনএসসি। তার স্থলে মনোনয়ন দেওয়া হয় আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে। পরদিনই তাকে বোর্ড সভায় সভাপতি করা হয়। যে ক্রীড়া পরিষদ ফারুককে মর্যাদার চেয়ারে বসিয়েছিল, একযোগে পরিচালকদের অনাস্থা প্রস্তাবের পর সেই তারাই তাকে ছুঁড়ে ফেলল।
গুঞ্জন ওঠে দেশ ছেড়েছেন ফারুক। যদিও এমন খবর উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘পুরোপুরি মিথ্যা কথা। যারা আমাকে নিয়ে নাটক তৈরি করেছে এতদিন, তাদেরই একটা নাটকের শেষ অংশ মনে হচ্ছে এটা। আমি দেশেই আছি, গুজবে কান দেবেন না।’ গ্রেপ্তারের গুজবও ছড়িয়ে পড়েছিল। এদিকে, পদচ্যুতির বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ফারুক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর। তার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, তাকে জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে। ফারুক বলেছেন, ‘আমি আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেব না। ফাইট করে যাব। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখব। আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে।
আমি আইসিসিতে জানিয়েছি। এরই মধ্যে সেক্রেটারির মাধ্যমে আইসিসি সভাপতি জয় শাহকে পুরো ব্যাপারটি জানানো হয়েছে। এছাড়া আইসিসির অন্তত ৫-৭ জন পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করেছি।’এর আগে ফারুকের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যহারসহ নানা অভিযোগ এনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে অনাস্থার চিঠি পাঠায় বিসিবির ১০ পরিচালকের ৮ জন। কিন্তু তারপরও ফারুক মনে করেন, তার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আশা দেখছেন, বছর দুয়েক আগে শ্রীলঙ্কা বোর্ডের মতো তিনিও জায়গা ফিরে পাবেন।