
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন, তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীতীরবর্তী মানুষজন; ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চরাঞ্চলের চাষিরা।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙা এবং উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া, থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নের চরাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে বাদাম, মরিচ, পাটসহ রবি শস্যের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সময় যত যাচ্ছে, তিস্তার পানি ধীরে ধীরে কমছে। ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, “চরে দুই একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। কয়েকদিন আগেও নদীর পানি বেড়েছিল, তবে তেমন ক্ষতি হয়নি। এবার পানি বাড়ায় ক্ষেত তলিয়ে গেছে।”
উলিপুর উপজেলার চর গোড়াইপিয়ারের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, “ধারদেনা করে এক একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। কয়েকদিন আগে কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলো অপরিপক্ব অবস্থায় তুলে নিই। এবার বাকি অংশ তলিয়ে যাওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় লোকসানের মুখে পড়তে হবে।”
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, “আগামী দুই দিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীগুলোর পানি সমতল হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে না। এছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ১৩টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব ভাঙন রোধে কাজ চলছে।”
সজিব