ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে ফ্রান্স!

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ২ জুন ২০২৫

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে ফ্রান্স!

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন France 5-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, “ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং আমরা এটি আসন্ন কয়েক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে পারি।” এটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে পশ্চিম ইউরোপের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স হবে প্রথম, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক পরিকল্পনার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক বিবৃতিতে  ২৮ মে আবারও জানিয়েছেন, তার সরকার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি "সক্রিয়ভাবে বিবেচনা" করছে।

ইন্দোনেশিয়া সফরকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে ম্যাক্রোঁ বলেন, “এই সংঘাতের স্থায়ী সমাধান কেবল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি, শান্তির জন্য দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই একমাত্র কার্যকর পথ।” তিনি আরও জানান, ফ্রান্স নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে চায় এবং কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাত করছে না।

ফ্রান্স ও সৌদি আরব যৌথভাবে গাজা সংকট নিয়ে নিউইয়র্কে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পরিকল্পনা করছে। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হবে— ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, ইসরায়েলের নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্ত নিশ্চিত করা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এই ইস্যুতে মতপার্থক্য আরও বাড়তে পারে।

বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৫টি দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এখনো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি। গত এপ্রিলেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন প্রক্রিয়া আবারও থেমে যায়।

ফ্রান্সের অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও এটি পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে ভিন্নমত তৈরি করতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

ফারুক

আরো পড়ুন  

×