মঙ্গলবার সকালে এক বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ক্রিমিয়ান সেতু, যা কৃষ্ণসাগরের জলরাশিতে সৃষ্টি করেছে বিশাল ঢেউ। ইউক্রেনের সামুদ্রিক ড্রোন দ্বারা চালানো এই হামলায় সেতুটির একটি সাপোর্টিভ পিলার ধ্বংস হয়ে যায়। কিয়েবের নিরাপত্তা সংস্থা এসইউবি দাবি করেছে, ১১০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছিল। তারা জানায়, এই হামলার পরিকল্পনা কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল।
অপারেশন 'স্পাইডার ওয়েব' নামে পরিচিত এই হামলার লক্ষ্য ছিল কৃষ্ণসাগরের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু, যা আজব সাগর ও কৃষ্ণসাগর দিয়ে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে কাজ করে। বিশেষত, ক্রিমিয়া বন্দর থেকে বিভিন্ন দেশে মালামাল পরিবহন করা হয়, যা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ক্রমাগত টানাপোড়েন সৃষ্টি করে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই সেতুর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।
ক্রিমিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার ফলে সেতুর একটি সাপোর্টিভ লেনের তলদেশে ক্ষতি হয়, তবে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে, রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়া দ্বীপটিকে যুক্ত করা সেতুটি কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবে রাশিয়া দাবি করেছে যে, ইউক্রেনের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
ক্রিমিয়া সেতুর নির্মাণ প্রকল্পে রাশিয়া কয়েকশো বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালে এই সেতু ব্যবহার করে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে রাশিয়া, যার ফলস্বরূপ খেরসন এবং জাপরজিয়া অঞ্চল দখল করে নেয়।
এই হামলা এবং এর ফলস্বরূপ নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
রাজু
