
গাজার নির্যাতিত ও অবরুদ্ধ জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে নীল সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে ত্রাণবাহী জাহাজ ‘মেডেলিন’। অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) নেতৃত্বে এই জাহাজটি ইতালির সিসিলি উপকূল থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক কাতারি মানবাধিকারকর্মী।
যাত্রা শুরুর পরপরই ইসরায়েল জাহাজটিকে গাজায় প্রবেশ না করার কঠোর হুমকি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জেরুজালেম পোস্ট জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্দেশ অমান্য করে যদি মেডেলিন জাহাজটি গাজার নিষিদ্ধ সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে, তাহলে কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি যাত্রীদের আটকসহ আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি ও মানবিক চাপ বাড়ছে ইসরায়েলের উপর। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানায়, ইতোমধ্যে তেলআভিভে সম্ভাব্য হামলা বন্ধের আহ্বানে ৪ লাখ ৯৮ হাজারেরও বেশি ইমেইল পাঠানো হয়েছে।
৯০ দিনের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের কঠোর অবরোধে আটকে থাকা গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের ভয়াবহ সংকট চলছে। এই পরিস্থিতিতে গাজার ৯৩ শতাংশ মানুষ অভুক্ত দিন কাটাচ্ছেন।
এ অবস্থায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ১২ সদস্যের একটি দল গড়ে তোলা হয়েছে মেডেলিনে। দলে রয়েছেন ২২ বছর বয়সী সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীরা।
জাহাজটি আগামী ৭ জুন গাজার উপকূলে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, গবেষণা সংস্থা ফরেনসিক আর্কিটেকচার এবং জাহাজে থাকা গার্মিন লাইফ ট্র্যাকার ব্যবহার করে জাহাজটির গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই অভিযানে বিশ্ববাসীর নজর এখন গাজার উপকূলে ভাসমান এক জাহাজের দিকে, যে জাহাজ বহন করছে আশা, সহানুভূতি ও জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ।
মিমিয়া