
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে সৌদি নেতৃত্বাধীন এক কূটনৈতিক সফর পরিকল্পনার মুখে বাধা দিল ইসরায়েল। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিশর, জর্ডান, কাতার ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রোববার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় যাওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরায়েল সরকার সেই সফরের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
এই বিরল সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত করে তুলবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে গাজায় ১৯ মাসের যুদ্ধের পটভূমিতে আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েল ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দখলদার ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেন, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বৈঠকটি ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের’ কাজে ব্যবহার করবেন। যা দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই তারা এ বৈঠক হতে দেবেন না।
পশ্চিমতীর যেহেতু ইসরায়েলের দখলদারিত্বে রয়েছে তাই সেখানে প্রবেশে আরব মন্ত্রীদের ইসরায়েলের অনুমোদন নিতে হবে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান এই সফরের উদ্যোগ নেন। এটি ছিল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থনের বার্তা দেওয়া এবং চাপে থাকা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি সংহতি প্রকাশের কৌশল। এই সফরকে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জর্ডান থেকে দুটি হেলিকপ্টারে করে প্রতিনিধিদলটি রামাল্লায় পৌঁছানোর কথা ছিল এবং সেখানে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে পশ্চিম তীরে প্রবেশের জন্য ইসরায়েলের অনুমতি আবশ্যক, যা তারা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
আগামী জুনের মাঝামাঝি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে সৌদি আরব ও ফ্রান্স।
এই প্রেক্ষাপটে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রামাল্লা সফর রুখে দিয়ে ইসরায়েল মূলত ওই আন্তর্জাতিক উদ্যোগের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।
সানজানা