
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে এলজিবিটিকিউ+ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অধিকাংশ মনে করেন, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা সমাজে এখনও পর্যাপ্ত গ্রহণযোগ্যতা পান না। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জানুয়ারি ২০২৫-এ পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩,৯৫৯ জন এলজিবিটিকিউ+ প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ মনে করেন, গে ও লেসবিয়ান ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে সমাজের "পর্যাপ্ত" বা "অনেক" গ্রহণযোগ্যতা ভোগ করেন। তবে মাত্র ১০ শতাংশের মতে, ট্রান্সজেন্ডার ও নন-বাইনারি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একই মাত্রার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রায় অর্ধেক অংশগ্রহণকারী মনে করেন, সমাজে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা "খুব কম" বা "একেবারেই নেই"।
এই জরিপটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনের পর, তবে তার দ্বিতীয় দায়িত্ব গ্রহণের আগে সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়— একজন ব্যক্তির লিঙ্গ নির্ধারণ করতে হবে গর্ভধারণের সময়কার জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী। আদেশটি লিঙ্গ পরিচিতিকে একটি বর্ণালী হিসেবে দেখার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে উপেক্ষা করে।
এই আদেশের পর ট্রাম্প প্রশাসন ট্রান্সজেন্ডার নারীদের মহিলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে, ট্রান্সজেন্ডার সেনা সদস্যদের বহিষ্কার করে এবং ১৯ বছরের কম বয়সী ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের জন্য জেন্ডার-আফার্মিং চিকিৎসার ফেডারেল অর্থায়ন বন্ধে উদ্যোগ নেয়।
জরিপে আরও দেখা যায়, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা পারিবারিক পরিমণ্ডলে গে ও লেসবিয়ানদের তুলনায় কম গ্রহণযোগ্যতা পান। গে ও লেসবিয়ান প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৫০ শতাংশ বলেছেন, তাদের পিতামাতারা তাদের গ্রহণ করেছেন; ট্রান্সজেন্ডারদের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৩ শতাংশ। extended পরিবারে মাত্র ১০ শতাংশ ট্রান্সজেন্ডার অংশগ্রহণকারী গ্রহণযোগ্যতা অনুভব করেছেন, যেখানে গে বা লেসবিয়ানদের ক্ষেত্রে তা প্রায় ৩০ শতাংশ।
তবে আশার দিক হচ্ছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুই-তৃতীয়াংশই মনে করেন, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধকরণের রায় সমাজে সমলিঙ্গ দম্পতিদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট অদূর ভবিষ্যতে টেনেসিতে নাবালকদের জন্য জেন্ডার-আফার্মিং চিকিৎসা নিষিদ্ধ করার একটি আইনি চ্যালেঞ্জে রায় দিতে যাচ্ছে, যা এই ইস্যুতে আরও জাতীয় বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।
সূত্র ঃhttps://shorturl.at/FsBFo
পৃথী