ছবি: সংগৃহীত
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ ধরে রাখতে মস্তিষ্কের সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনকার খাবারে কিছু নির্দিষ্ট উপাদান যোগ করলে বাড়বে মানসিক কর্মক্ষমতা ও চিন্তাশক্তি।
১. চর্বিযুক্ত মাছ (ওয়েলি ফিশ)
মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়। সালমন, টুনা এবং হেরিংয়ের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩-এ পরিপূর্ণ। এই উপাদান মস্তিষ্কের কোষের গঠন শক্তিশালী করে এবং মানসিক সক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেলে এটি চিন্তাশক্তি উন্নত করে।
২. ডার্ক চকলেট
স্বাদের জন্য জনপ্রিয় হলেও, ডার্ক চকলেটের রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতাও। এতে থাকে কাকাও, যা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই ফ্ল্যাভোনয়েড মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণকারী অংশে রক্তনালীর বৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয়।
৩. বেরিজজাতীয় ফল
রাস্পবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির মতো বেরিগুলোতেও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন, ক্যাফেইক অ্যাসিড, ক্যাটেচিন এবং কোয়ারসেটিন। এসব উপাদানে আছে প্রদাহনাশক ক্ষমতা, যা শরীরে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয়।
৪. কফি
কফির সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি জাগিয়ে রাখে এবং মনোযোগ বাড়ায়। এতে থাকা ক্যাফেইন নামক উপাদান মস্তিষ্কে অ্যাডেনোসিন নামক ঘুম আনয়নকারী রাসায়নিককে প্রতিহত করে। ফলে ঘুম ঘুম ভাব কেটে যায় এবং মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।
৫. ব্রকোলি
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বাড়াতে ব্রকোলি অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এতে গ্লুকোসিনোলেট নামক যৌগ থাকে, যা শরীরে ভেঙে গিয়ে আইসোথায়োসায়ানেটে পরিণত হয়। এই উপাদান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং আলঝেইমারসের মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
অতিরিক্ত টিপস:
-
ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম শুধু হার্টের জন্য নয়, মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। এটি রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
-
সুষম খাবার খান: একটি পরিপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।
মনে রাখবেন, মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রতিদিন সঠিক পুষ্টি না পেলে এর কার্যক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। তাই এখন থেকেই স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়াতে মেনুতে রাখুন এই ৫টি খাবার।
আবির
