ছবি:জনকণ্ঠ
পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে সরকারি টানা ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য বান্দরবানের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। গেল কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পর্যটকদের ঘুরাফেরা করতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও বৃষ্টি কমায় পাহাড়ে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে যেকোনো সময় বৈরী আবহাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানায়, পার্বত্য বান্দরবানে পুরো বছরেই কমবেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। তবে সরকারি বিশেষ ছুটির দিনে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঈদের এই ছুটিতে শুধু বান্দরবান জেলা শহরেই নয় চিম্বুকের নীলগিরি, সাইরু, লাবাতং'সহ বিভিন্ন নামিদামি রিসোর্টগুলোতে প্রায় ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। তবে ছুটির দিনে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ছুটির আনন্দ নিরানন্দে রূপ নিতে পারে বলেও মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
হোটেল নাইট হেভেনের মালিক মো. ইসমাইল জানান, ঈদের ছুটিতে পাহাড় সবুজ আর মেঘের অপূর্ব দৃশ্য দেখতে অনেক পর্যটক আসবেন বলে আশা করছি। ঈদ উপলক্ষে এরইমধ্যে আমার হোটেলে ৯০ ভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের সরকারি ছুটিতে বান্দরবানের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে প্রায় আগাম বুকিং হয়ে গেছে। শহর ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। এসব জায়গায় কয়েক হাজার পর্যটক থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, লামা-আলীকদম উপজেলায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন রিসোর্ট। এসব রিসোর্টেও প্রচুর সংখ্যক পর্যটক ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে বৈরী আবহাওয়া পর্যটকদের আনন্দে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। গত কয়েকদিন থেকে জেলা ভারী বৃষ্টি হওয়ায় অভ্যন্তরের সড়ক গুলোতে পাহাড় ধসের কারণে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় লামা উপজেলার মিরিঞ্জা এলাকার অনেক পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বান্দরবান ট্যুরিস্ট রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বান্দরবান জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের ছুটিতে দেবতাখুম, নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত ও চিম্বুকসহ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই শিফটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০২৪ সালের শুরু থেকে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে পর্যটক যাতায়াতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ওইসব স্থান ছাড়া অন্যান্য উপজেলার পর্যটন স্পষ্ট কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের আগমন অনেক বাড়ছে। এবারের ঈদুল আযহার ছুটিতেও পর্যটকরা বেড়াতে আসবে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আঁখি
