ছবিঃ সংগৃহীত
চল্লিশের আগেই অনেকের চেহারায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, আবার অনেকে তুলনামূলক বেশি বয়সেও তরুণ ও প্রাণবন্ত দেখায়। সম্প্রতি মিডিয়াম ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখে সকালের প্রথম এক ঘণ্টার কিছু অভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের যেসব আচরণ দৈনন্দিন জীবনে বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত বা মন্থর করতে পারে, তা নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
প্রথমত, ঘুম থেকে উঠে অনেকেই ক্লান্ত অনুভব করেন, যদিও তারা রাতভর ভালো ঘুমিয়েছেন। এ অবস্থাকে বলা হয় ‘স্লিপ ইনারশিয়া’ বা ঘুমজড়তা। এই অবস্থা কাটাতে শরীর নাড়াচাড়া, ঠান্ডা পানির ঝাপটা এবং সূর্যালোক গ্রহণ কার্যকর হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ঘুমের সময় শরীর থেকে পানি নিঃসৃত হয় বলে সকালে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। চা বা কফির আগে আধা লিটার পানি পান, সঙ্গে সামান্য লবণ, লেবু বা মধু মিশিয়ে নেওয়া গেলে তা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক হয়।
তৃতীয়ত, সকালের হালকা ব্যায়াম যেমন ৫-১০ মিনিট হাঁটা বা হাত-পা নাড়াচাড়া শরীর ও মনের জড়তা কাটায় এবং ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে সতেজতা আনে।
চতুর্থত, অনেকেই সকালের নাশতা বাদ দেন বা দেরি করে খান, যা স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ। পুষ্টিকর কিন্তু হালকা নাশতা দিনটিকে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
সর্বশেষ, খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের অভাবও বার্ধক্য ত্বরান্বিত করে। ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, গ্রিন–টি এবং ডার্ক চকলেট—এইসব উপাদান বয়সের ছাপ প্রতিরোধে কার্যকর।
এই পাঁচটি বিষয় মাথায় রেখে সকালের অভ্যাসে পরিবর্তন আনলে শরীর থাকবে চনমনে ও তরতাজা, বার্ধক্যও ধীর গতিতে ধরা দেবে।
পৃথী
